জিম্বাবোয়ের হারারেতে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের গ্রুপের খেলায় শুরুর দিকে পর পর তিন ম্যাচে হেরে প্রায় কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল আফগানিস্তান। তাদের সুপার সিক্সে যাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছিলো। নেপালকে হারয়ে কোনমতে সুপার সিক্সে জায়গা পায় আফগানরা। সুপার সিক্সের সবকটা ম্যাচ জিতে মোক্ষম সময়ে ফর্ম দেখালো আফগানরা। সফল ভাবে সুপার সিক্স পর্ব শেষ করে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ানও হল তারা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হলো আফগানিস্তান। রবিবার হারারেতে ফাইনালে দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দাপুটে ৭ উইকেটে জয় পায় আফগানরা। সুপার সিক্সের একটি ম্যাচ এবং ফাইনালে পর পর দু’বার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মত দলকে হারিয়ে প্রমাণ করলো, তারা কোনো দলের থেকে কম নয়, তারাও বিশ্বের অন্যান্য দলকে লড়াই দিতে পারে।
এবারের বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার টুর্নামেন্টে টানা পাঁচ ম্যাচ জয় নিয়ে চ্যাম্পিয়ান হয় আফগানিস্তান। আইসিসির বড় আসরে কোণঠাসা অবস্থা থেকে উতরে পরে এমন টানা জয়ে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার রেকর্ড রয়েছে কেবল পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার। বাজে শুরু শেষে টানা পাঁচ জয় নিয়ে ১৯৯২’র বিশ্বকাপ জেতে অধিনায়ক ইমরান খানের পাকিস্তান। আর টানা ৬ জয়ে ১৯৯৯’র বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ান হয় স্টিভ ও’র অস্ট্রেলিয়া।
আফগানিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে এটি প্রথম বড় শিরোপা। এর আগে আয়ারল্যান্ডের পেছনে দ্বিতীয় স্থান নিয়ে ২০১৩’র আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লীগ চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ করেছিল তারা। আগামী জুনে তারা ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলবে।
ছবি – গুগল সার্চ করে প্রাপ্ত
Be the first to comment