রোজদিন ডেস্ক :- জিরিবামে ৬ জনের দেহ উদ্ধার ঘিরে শনিবার ফের উত্তাল হয় মণিপুর। তারই প্রতিবাদে মন্ত্রীদের পর এবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও চড়াও হল বিক্ষোভকারীরা।
ছয় বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালানোর পর এবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা বিক্ষোভকারীদের। হামলা চালানো হয় রাজ্যের তিন মন্ত্রীর বাড়িতেও। ভাঙচুর করা হয় জিনিসপত্র।
জোর করে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করে একদল ক্ষুব্ধ জনতা। দরজা পর্যন্ত ভেঙে ফেলে তারা। বিক্ষুব্ধদের ঠেকাতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের নিরপত্তারক্ষীদের। অবশেষে বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করতে কাঁদানে গ্যাসের (Tear Gas) শেল ফাটায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী।
গত সপ্তাহেই জিরিবামে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলেছিল। সংঘর্ষে মারা যায় কুকী গোষ্ঠীর ১০ সশস্ত্র সদস্য। এরপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান ৬ জন। ওই ৬ জনকে জঙ্গিরা অপহরণ করেছিল বলে অভিযোগ করা হয়।
এরপরই শনিবার বরাক নদী থেকে উদ্ধার হয় ৬টি দেহ। মৃতদের মধ্যে ছিল একটি ৮ মাসের শিশুও। এরপরই প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মণিপুরে ফের অশান্তি শুরু হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে সরকারকে সময় বেঁধে দিল বিক্ষোভকারীরা।
শনিবার সকালে ইম্ফলের বিভিন্ন জায়গায় মন্ত্রী ও বিধায়কদের বাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয় বাড়িতে। মণিপুরের বিধায়ক তথা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের জামাইয়ের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। ৬ নিরীহকে খুনের অভিযোগ তুলে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন বিক্ষুব্ধরা।
হামলা চালানো হয় রাজ্যের তিন মন্ত্রী সাপাম রঞ্জন, এল সুশীন্দ্র সিং ও ওয়াই খেমচাঁদের বাড়িতে। প্রতিবাদ ঠেকাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু জারি করা হয় ইম্ফল পূর্ব ও পশ্চিমে। পরে কার্ফু জারি করা হয় বিষ্ণুপুর, থৌবাল ও কাকচিং জেলাতেও।
Be the first to comment