রাস্তায় বেরোতেই অগ্নিমিত্রাকে আটকালো পুলিশ

Spread the love

রাজ্যের চার পুরনিগমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে শনিবার সকাল থেকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর। বিশেষত আসানসোলে শাসক দলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ সামনে এনেছেন বিরোধীরা। একদিকে পুলিশের তরফে নোটিস দেওয়া হয়েছে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। অন্যদিকে রাস্তায় বেরতেই বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের গাড়ি আটকাল পুলিশ। এ দিন সকাল থেকেই অগ্নিমিত্রার আসানসোলের বাড়ির সামনে ছিল কড়া পুলিশি প্রহরা। পরে তিনি বাড়ি থেকে বেরতে গেলে তাঁকে বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। তাঁর গাড়ি কিছুটা এগোতেই রাস্তা আটকায় পুলিশের একটি গাড়ি। অগ্নিমিত্রা জানান, তিনি আসানসোলের ভোটার। ভোটার তালিকায় নামও রয়েছে তাঁর। তারপরও তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, এ দিন ভোট দিতে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে অগ্নিমিত্রাকে।

এ দিন পুলিশ তাঁকে যেতে বাধা দিলে আসানসোলের দায়িত্বে থাকা কমিশনের আধিকারিককে ফোন করেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা। তিনি জানান, তাঁকে পুলিশ এগোতে দিচ্ছে না। সব শুনে তাঁকে যাওয়ার অনুমতি দেন কমিশনের আধিকারিক। অগ্নিমিত্রা জানিয়েছেন, কমিশনের তরফে তাঁকে বলা হয়েছে, ভোট দিতে যেতেই পারেন। এরপর তাঁকে যেতে দেওয়া হয়।

প্রশ্ন উঠেছে কমিশন যখন যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে, তখন কেন আটকাচ্ছে পুলিশ? অগ্নিমিত্রার দাবি, এটা পূর্ব পরিকল্পিত একটা চক্রান্ত। বুথ লুঠ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেই বিরোধীদের এ ভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

এ দিন সকালেই আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক দাবি করেন, অগ্নিমিত্রা পাল আসানসোলের ভোটার নন, তা সত্ত্বেও তিনি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে, মলয় ঘটক দাবি নস্যাৎ করে অগ্নিমিত্রা জানিয়েছেন তিনি আসানসোলের ভোটার, ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। কিন্তু ভোট দিতে গিয়ে জানতে পারেন সেখানে তাঁর নাম নেই। বিধায়ক জানান, অগ্নিমিত্রা পালের অনলাইনে নাম উঠেছে ভোটার তালিকায়। সেই মতো এদিন এলআইসি ক্যান্টিন ভোট কেন্দ্রে ৫৪ নম্বর বুথে ভোট দিতে যান তিনি। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন সেখানে তাঁর নামই নেই। ভোট না দিয়ে ফিরে যান তিনি। জানান অনলাইনে ভোটার তালিকায় নাম ও ভোট কেন্দ্রের নাম থাকলেও এখানে নাকি ভোটার লিস্টে তাঁর কোনও নামই নেই। আর এই গাফিলতির দায় তিনি চাপিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপর।

অন্যদিকে, আর এক বিজেপি নেতা তথা আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ভোটের দিন সকালেই নোটিস দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরছেন বুথে বুথে। পুলিশের নোটিস পাওয়ার পরই তাঁর নিরাপত্তায় থাকা সশস্ত্র বাহিনী সরিয়ে দেন জিতেন্দ্র। শুক্রবার রাত থেকেই শাসক- বিরোধী সংঘাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আসানসোল। বহিরাগত এনে ভোট করানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*