কল্যাণী এইমস নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের আবেদন খারিজ। নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। সিআইডির হাতেই থাকল তদন্তভার। এইমস দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতার। সেই মামলাতেই নির্দেশ আদালতের।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই কল্যাণী এইমসের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের কাছে নথি তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট। এইমসের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। ইতিমধ্যেই এই মামলার তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডি। সিআইডি-র তদন্তে কী কী তথ্য উঠে এসেছে, তদন্তের গতিপ্রকৃতি কী, তার বিস্তারিত রিপোর্ট রাজ্যের কাছে তলব করে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট তলব করে।
এদিকে, গত মাসেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। এইমসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের আর্জিও জানানো হয়েছিল। যেহেতু এই মামলায় সিআইডি তদন্ত চলছে, সে ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত করা সম্ভব কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। হাইকোর্ট সিবিআই-এর বক্তব্যও জানতে চায়। সহকারি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্যকে সিবিআই-এর বক্তব্য জানাতে বলা হয়।
১৬ অগাস্টেও এই মামলার শুনানি ছিল। তারপর এদিনের শুনানি। যেহেতু এই ঘটনার তদন্ত প্রথম থেকে সিআইডি করছিল, সিআইডির হাতেই থাকল তদন্তভার।
এইমসে বিধায়কের মেয়ের নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানা হাসপাতালের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। মাসে তিনি ৩০ হাজার টাকা বেতন পান। অভিযোগ, কোনওরকম নিয়োগ প্রক্রিয়া ছাড়াই তিনি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। কল্যাণী থানায় আগেই এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করেন এক চাকরি প্রার্থী। এরপর মুর্শিদাবাদ থেকেও কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী এসে অভিযোগ করেন। চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিধায়কও। এরপরই সুজিত চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি বিধায়ক কন্যার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। এইমস দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতার ।
Be the first to comment