ঐতিহাসিক চুক্তি করল এয়ার ইন্ডিয়া। ১৪ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের এয়ারবাসের সঙ্গে একটি বড়সড় চুক্তিতে সই করেছে টাটা গোষ্ঠী পরিচালিত এয়ার ইন্ডিয়া। ফ্রান্স থেকে ২৫০টি এয়ারবাস বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যা একদিকে যেমন ভারত-ফ্রান্স দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে, অন্যদিকে দেশের বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবায় নতুন ইতিহাস তৈরি হবে বলে রতন টাটার সংস্থার দাবি।
অন্যদিকে,আমেরিকার থেকেও এয়ার ইন্ডিয়া ২২০টি বোয়িং বিমান কিনতে চলেছে বলে খবর। ভারতীয় সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া ও মার্কিন সংস্থা বোয়িং-এর মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, তাকেও স্বাগত জানিয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতাই। এই চুক্তির ফলে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক লাভ নয়, দুই দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে।
গতকাল ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরেঁর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। দুই রাষ্ট্রনেতা আলোচনার পরেই চুক্তিতে সই হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এয়ারবাসের সিইও গিয়োম ফওরি, টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারপার্সন রতন টাটা, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরণ জানিয়েছেন, এটি নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক চুক্তি।
অন্যদিকে, আমেরিকার সংস্থা বোয়িং-এর কাছ থেকে ২২০টি বিমান কিনবে টাটা গোষ্ঠীর এয়ার ইন্ডিয়া। প্রায় ৩,৪০০ কোটি ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ লক্ষ ৮২ হাজার কোটির চুক্তি হয়েছে দুই দেশের সংস্থার মধ্যে। জো বাইডেন এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এর বাইরে আরও ৭০টি বিমান কেনার বিকল্প থাকবে। এতে মোট চুক্তি হবে ৪৫.৯ বিলিয়ন ডলারের। আর এই চুক্তি আমেরিকা এবং ভারতের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ফ্রান্সের সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার চুক্তি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, এই চুক্তি ভারতের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এটি ভারত ও ফ্রান্সের বন্ধুত্বের প্রতিফলন। এর পাশাপাশি ভারতের বিমান চালনা ক্ষেত্রের সাফল্যেরও ইঙ্গিতবাহী। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, অসামরিক বিমান পরিবহণ ভারতের বিকাশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। গত ৮ বছরে ভারতের মোট বিমানের সংখ্যা ৭৪ থেকে বেড়ে ১৪৭ হয়েছে।
সরকারের ‘উড়ান’ প্রকল্পে প্রান্তিক এলাকাগুলিকে বিমান-যোগে জুড়ছে। অদূর ভবিষ্যতে অসামরিক বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হতে চলেছে। এর জন্য আগামী ১৫ বছরে দু’হাজারের বেশি বিমান লাগবে। এই বাড়তি চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে এই চুক্তি।
Be the first to comment