বারবার দরপত্র চেয়েও কোনও সাড়া মেলেনি। কোনও খদ্দেরই জুটছে না এয়ার ইন্ডিয়ার কপালে। সংস্থার এই দুরবস্থা নিয়ে এখন নানা মুনির নানা মত। রসিকতা করতে ছাড়ছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও। যদিও রসিকতার মাধ্যমে সরকারের দুর্বোধ্য পরিকল্পনাকেই দায়ি করছেন অনেকে। তাঁদের বক্তব্য, এয়ার ইন্ডিয়া নিয়ে এখন কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার মতো অবস্থা হয়েছে সরকারের। যতই ধনী পাত্রেরই সন্ধানই করা হোক না কেন আসল উদ্দেশ্য অধরাই থেকে যাবে। কেননা সরকারকে বুঝতে হবে অনেকদিন আগেই বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেছে মেয়ের। তাই সুপাত্রের সন্ধান দিবাস্বপ্নই থেকে যাবে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সরকারি প্রস্তাবিত দরপত্রে বলা হয়ছে সংস্থার ৭৬ শতাংশ ইকুয়িটি বিক্রি করে দেওয়া হবে। বাকি ২৪ শতাংশ রেখে দেওয়া হবে। এমনিতেই এখন গড়ে প্রতিবছর এয়ার ইন্ডিয়ার লোকসানের বহর দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। আবার, যে সংস্থা নেবে তাঁদের সংস্থার পূর্বতন ৩৪ হাজার কোটি টাকার ঋণভার নিতে হবে। শুধু তাই নয় দায় দায়িত্ব নিতে হবে সংস্থার প্রায় ৩০ হাজার কর্মীর। যা রীতিমতো অবাস্তব। যদি পরিকল্পনার বাস্তব রূপ দিতে হয়, তাহলে সরকারকে আরও কিছু আকর্ষণীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
যদিও এয়ার ইন্ডিয়ার সুবর্ণ সময় অনেকটাই পেরিয়ে গেছে, তবুও এখনও ব্রান্ড ভ্যালু বা ভবিষ্যত সম্ভাবনা কিছুটা বেঁচে আছে। এখনও প্রতিযোগিতার বাজারে এর চাহিদা রয়েছে। এগুলোকেই সম্বল করে আগামি দিনে সংকটের কালোমেঘ কাটতে পারে বলে মনে করেন ওয়াকিবহাল মহল।
Be the first to comment