প্রথমে শুরুটা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শকে সামনে রেখে। পরে কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু না নিয়ে রাজ্যকে নিশানা করেছিলেন তিনি। কিন্তু বক্তব্যের শেষ অংশজুড়ে রইল শুধু হিন্দুত্ববাদ প্রসঙ্গ।
পুরুলিয়ার বলরামপুরে বক্তব্য রাখতে উঠে উত্তরপ্রদেশের ‘রামরাজ্যের’ ভাবমূর্তি বঙ্গবাসীর কাছে তুলে ধরতে মরিয়া প্রয়াস চালালেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
পাশাপাশি রাজনৈতিক হিংসায় প্রাণ হারানো তিন বিজেপি কর্মী হরিরাম মাহাতো, কামিনী টুডু এবং মোনিকা কোঙারের কথাও শোনা গেল তাঁর মুখে। তিনি জানান, এই শহিদদের কথা আমরা ভুলব না। তাঁদের পরিবারকে আমরা ন্যায়বিচার দেবই।
প্রসঙ্গত, সোমবারই বলরামপুরে সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় BJP-কে উৎখাতের হুঙ্কার দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আহত বাঘ আরও বেশি ভয়ঙ্কর। আমি জীবনে অনেক আঘাত-প্রত্যাঘাতের মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু কখনও মাথা নত করিনি। শরীরের যন্ত্রণার থেকে হৃদয়ের যন্ত্রণা অনেক বড়। বাংলাকে ঘিরে চক্রান্ত চলছে। অশুভ শক্তির বিনাশ চাই। সে জন্যই আমাকে বেরতে হবে।’
এদিকে মঙ্গলবার বলরামপুরে পালটা সভা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এদিনের সভায় তিনি বলেন, ‘বাংলা রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দের বাংলা। আমি আপনাদের দুঃখ জানি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে যাবতীয় দুঃখ দূর হবে।’ আয়ুষ্মান ভারত সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প উত্তরপ্রদেশে চালু হওয়ায় সেখানে সাধারণ মানুষ আজ খুশি, দাবি যোগীর।
এরপরেই হিন্দুত্ববাদ প্রসঙ্গ টেনে যোগী বলেন, ‘আগে একটা প্রজন্ম ছিল, যারা মনে করত মন্দিরে গেলে সেকুলারিজ নষ্ট বয়ে যাবে। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মন্দিরে গিয়ে চন্ডীপাঠ করছেন। এটাও এক ধরনের পরিবর্তন।’
শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, এদিন রাহুল গান্ধীকেও এক হাত নেন যোগী। জানান, ‘এখন নির্বাচনের সময় মন্দিরে যান রাহুল গান্ধীও।’ এদিন উত্তরপ্রদেশ মডেলের কথা শোনা যায় যোগীর মুখে। তিনি বলেন, ‘বাংলায় গোমাতা চুরি হয়ে যায়, পাচার হয়ে যায়। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে আমরা গোমাতাকে মারতে দিই না। বাংলার এই দিনের অবসান করবে বিজেপি।
Be the first to comment