রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। শুক্রবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে রাজারহাটের হিডকো ভবনে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা ও ডিজি মনোজ মালব্য।
এই বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত সীমান্তবর্তী জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদেরও ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিক-সহ নৌ সেনা ও বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। মূলত রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে খবর।
কাঁটাতার লাগানো থেকে শুরু করে সীমান্তে নিরাপত্তা, চেকপোস্ট বাড়ানো ও বিএসএফের নতুন ক্যাম্প তৈরির জন্য জমি নিয়ে মাঝেমধ্যেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে একটা সংঘাতের আবহ তৈরি হয়। সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে যাতে রাজ্য এবং কেন্দ্র সীমান্তে একসঙ্গে কাজ করতে পারে সেই জন্যই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। নবান্নের তরফে জানা গিয়েছে, এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে সামনে পেয়ে রাজ্যের বক্তব্য তুলে ধরতে পারেন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব। ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানে তিনি বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে বলেছেন, আমি সেনাকে সম্মান করি কিন্তু এই সেনাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। আগে সেনারা সীমান্তের ১৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ঘুরত। এখন তারা ৫০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে গ্রেফতার ও তল্লাশি চালাচ্ছে। যেটা মূলত রাজ্য পুলিশের আওতাভুক্ত এলাকা। তাই রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে একতরফা এই সিদ্ধান্ত কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়।
বিএসএফের এলাকা বিন্যাস নিয়ে এই বিতর্কের মাঝেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজির বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলেই প্রশাসনিক মহল সূত্রে খবর ৷
Be the first to comment