লখনউ বিমানবন্দরে আটক উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। মঙ্গলবার সকালে টুইটারে এই অভিযোগ করেছেন অখিলেশ নিজেই। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে লখনউ থেকে প্রয়াগরাজে যাচ্ছিলেন অখিলেশ। বিকেলে এলাহবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। লখনউ বিমানবন্দর থেকে টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেছেন অখিলেশ। তাতেই সামনে এসেছে এই খবর।
এদিকে অখিলেশকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর তিনি বলেন, এক ছাত্রনেতার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকেও ভয় পাচ্ছে সরকার। আমি যাতে এলাহাবাদে না যেতে পারি, সেজন্য আমাকে বিমানেই উঠতে দেয়নি। ঘটনার পরই টুইটারে বিষয়টি জানিয়েছেন অখিলেশ।
দেখুন!
এদিকে ঘটনার পরই অখিলেশ যাদবকে ফোন করে খবর নেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি কলকাতা বিমানবন্দরে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন বিনাশকালে ওদের বুদ্ধিনাশ হয়েছে। মানুষ ভোটে এর জবাব দেবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানান, অন্য জায়গায় গিয়ে গণতন্ত্রের কথা বলেন মোদী, অমিত। আর ওঁদের রাজ্যে যেতে বিরোধীদের বাধা দেন। জিগনেশ মেওয়ানিকে গুজরাটে ঢুকতে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে মমতা বলেন, তদন্তকারীরা খুন হয়ে যাচ্ছেন। গোরক্ষার নামে খুন করা হচ্ছে। গোটা দেশে ঘৃণার রাজনীতি চলছে। গণতন্ত্রে এমন স্বৈরাচার আগে দেখিনি। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এজেন্সির অপব্যবহার করা হচ্ছে। আজ বিমান বন্দরে অখিলেশ যাদবকে আটকানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এসে সোয়াইন ফ্লু নিয়ে প্রোগ্রাম করে চলে যাচ্ছে। আমরা কিন্তু অনুমতি দিচ্ছি। এমন অবস্থা যে, পুলিশ পর্যন্ত খুন হয়ে যায়। নানা দুর্নীতির মামলায় সাক্ষীর অভাবে সব জামিন পেয়ে যাচ্ছে।
পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভূপেন হাজারিকাকে নিয়ে তাঁর পরিবারের সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করি। আজ আমি ধর্না মঞ্চে যাব। কেজরিওয়াল আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এছাড়া দিল্লির গোর্খাভবনে আমার ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানও রয়েছে।
অন্যদিকে, এদিন নাগরিকত্ব বিল নিয়েও সরব হন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, দ্বিতীয়বার কেন নাগরিকত্ব প্রমাণ দিতে হবে? নাগরিকত্ব বিলের নামে তো দেশবাসীকে অপমান করছে বিজেপি। মমতা বলেন, ওরা মানুষের মধ্যে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করছে। নরেন্দ্র মোদী ভালোভাবেই বুঝে গিয়েছেন যে ওঁরা আর ক্ষমতায় থাকবে না। তাই এসব করছে।
দেখুন মমতার টুইট-
অন্যদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করে টুইট করেন মায়াবতীও।
টুইটারে ক্ষোভপ্রকাশ করেন, তেজস্বী যাদবও।
Be the first to comment