টেক অফের আগে তড়িঘড়ি কেটে দিতে হয়েছিল ফোনটা। বলেছিলেন, বিমান থেকে নেমেই বাকি কথা হবে। পরে ফোন এল। একটু আগে । কিন্তু, ওপারের কণ্ঠস্বর পালটে গিয়েছে । কিছু বুঝে ওঠার আগেই যেন একটা ফোন বদলে দিল বাড়ির পরিবেশ ।
প্রথমে ফোনে জানানো হল গুরুতর আহত কো-পাইলট অখিলেশ কুমার । কিছু পরই দ্বিতীয় ফোন। জানানো হল মারা গিয়েছেন অখিলেশ। খবরটা স্ত্রী মেঘাকে জানাতে সাহস পাননি পরিবারের লোকজন। সপ্তাহ দুয়েক পরই তাঁর সন্তান জন্ম দেওয়ার তারিখ। দিনে বেশ কয়েকবার ফোন করে স্ত্রীর খোঁজ খবর করতেন অখিলেশ। শুক্রবার সন্ধাতেও কথা হয়েছিল। বাকি কথা রাতে হবে বলে সে-যাত্রায় ফোন কেটেছিলেন তিনি।
গত সন্ধ্যায় ৭ টা ৪০ মিনিটে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস IX-1344, B ৭৩৭। বন্দে ভারত মিশনে দুবাই থেকে কালিকট ফিরছিল বিমানটি। খাদে পড়ে দুই টুকরো হয়ে যায়। পাইলট দীপক শাঠে এবং কো-পাইলট অখিলেশ কুমারের মৃত্যু হয়। দীপক এবং অখিলেশ-সহ মোট ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত।
২০১৭ সালে এয়ার ইন্ডিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন অখিলেশ। লকডাউনের আগে শেষবার বাড়ি ফিরেছিলেন। বন্দে ভারত মিশনে বিমান চালনার দায়িত্বে ছিলেন । তিনি এবং অন্য বিমান কর্মীদের 8মে বিমানবন্দরে ‘হিরো’-র মতো স্বাগত জানানো হয়েছিল ।
কো-পাইলটের পরিবারে রয়েছেন তাঁর বাবা-মা, ভাই,বোন । রয়েছেন তাঁর স্ত্রী মেঘা । তিনি অন্তঃসত্ত্বা । আর ১৫ থেকে ১৭ দিন পরেই তাঁর প্রসবের দিন ঠিক হয়েছে । অখিলেশের ভাই বাসুদেব জানান, “খুব ভাল মানুষ ছিলেন অখিলেশ । ভালো ব্যবহার করতেন। “
Be the first to comment