আগামী মাসেই উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নিজের শক্ত গড় গোরক্ষপুর থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই নিয়ে বিজেপি নেতাকে তীব্র কটাক্ষ করলেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান তথা উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব।
বিজেপির তরফেই গোরক্ষপুর কেন্দ্রে যোগী আদিত্যনাথের নাম ঘোষণা হওয়ার পর অখিলেশ বলেন, এর আগে বিজেপি বলতো যোগী আদিত্যনাথ অযোধ্যা থেকে লড়বেন অথবা মথুরা থেকে লড়বেন বা প্রয়াগরাজ থেকে লড়বেন, আমার দেখে খুব ভালো লাগছে বিজেপি যোগীকে গোরক্ষপুরে পাঠিয়ে দিয়েছে। যোগীর উচিত সেখানেই থাকা, ফিরে আসার কোনও প্রয়োজন নেই।
বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপি থেকে বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রী অখিলেশের দলে যোগ দিয়েছেন। এবারের উত্তর প্রদেশ নির্বাচন বিজেপির কাছে ক্ষমতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। তাই নির্বাচনের আগেই একরাশ নেতৃত্বে দলত্যাগের ফলে স্বভাবতই চাপে বিজেপি। রাজ্যের ছোট ছোট দলগুলিকে একত্রিত করে অখিলেশের তৈরি রামধনু জোট বিজেপির কাছে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। পাশাপাশি কৃষকদের ক্ষোভও বিজেপির কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাজ্য এবারের নির্বাচনে বিজেপির সাথে অখিলেশের সমাজবাদী পার্টির মূল লড়াই। সম্প্রতি যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন এবারের নির্বাচন ‘৮০ বনাম ২০-র লড়াই’। অনেকেই মনে করেছিলেন ৮০ বলতে হিন্দুদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যোগী এবং ২০ বলতে মুসলমানদের বোঝানো হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি ছিল এই মন্তব্যে মেরুকরণ আরও স্পষ্ট করে ভোটে ফায়দা তোলার কৌশল অবলম্বন করেছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। গতকালই যোগী আদিত্যনাথের এই মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করেন অখিলেশ যাদব। অখিলেশ বলেন, “যোগীর কথার অর্থ এবারের নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি ৮০ শতাংশ আসন জিতবে এবং বিজেপি ২০ শতাংশ আসনে জিতবে।” অখিলেশের এই মন্তব্যকে সদ্য বিজেপি ত্যাগী ৫ বিধায়ক সমর্থন জানিয়েছিলেন।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জের। কথিত আছে “দিল্লির রাস্তা উত্তর প্রদেশ হয়ে যায়।” তাই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতলে ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগেই অন্যদের তুলনায় বেশ কিছুটা এগিয়ে থাকবে বিজেপি। দেশের সর্ববৃহৎ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে জনগণ কোন দিকে রায় দেয় তার উত্তর মিলবে ১০ মার্চ।
Be the first to comment