বঙ্গে পঞ্চম দফার ভোট আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার। তারপর পড়ে থাকবে আরও তিন দফা। কোভিড সংক্রমণের দৌরাত্ম্যের মধ্যে সেই তিন দফার ভোট কীভাবে সামলানো যায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এ দিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে বৈঠকে বসে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি।
তবে সর্বদল বৈঠকে শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করার জল্পনায় জল ঢেলে দেওয়া হয়। মূলত যে সিদ্ধান্ত উঠে আসে তা হল, কোভিড বিধি পালনের মধ্যে দিয়েই প্রচার চলবে। এখনও ভার্চুয়াল প্রচারের কথা ভাবা হচ্ছে না। এবং শেষ দফার ভোটও কমিশনের পূর্ব নির্ধারিত নির্ঘণ্ট অনুযায়ীই হবে।
কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এ দিন সর্বদল বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত এবং শিশির বাজোরিয়া। সর্বদল বৈঠক শেষে স্বপনবাবু জানান, “পঞ্চম দফার পর ৬১ শতাংশ বিধানসভা আসনে ভোট হয়ে যাবে। বাকি ৩৯ শতাংশ প্রার্থীরাও যেন প্রচার করার সুযোগ পান। এই আবেদন তাঁরা জানিয়েছেন কমিশনে। একই সঙ্গে আসন্ন দফাগুলিতে ভোটের লাইন যেন আরও দীর্ঘ করা হয় যাতে শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা যায় সেই আবেদন জানানো হয়েছে।”
শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে না হওয়ায় তৃণমূল যদিও কিছুটা হতাশ। সর্বদল বৈঠক শেষে বেরিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বিস্মিত এখানে আট দফায় ভোট নিয়ে। এর ফলে কোভিড-সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে। মানুষের জীবনকে মূল্যবান মনে করি। আমরা প্রথম থেকেই কম দফায় ভোট চেয়েছিলাম। তিনদফার ভোট একদফায় হলে সবারই সুবিধা হবে।”
অন্যদিকে সংযুক্ত মোর্চার তরফে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং রবীন দেব সর্বদল বৈঠকে যোগ দেন। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যেভাবে কমিশন আমাদের বিধি মানতে বলবে আমরা সে ভাবেই রাজি। গত অগস্ট মাসে নির্বাচন কমিশন যে গাইডলাইন দিয়েছিল তা কার্যকর হয়নি মামলা হয়। তবে দল হিসেবে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছি। কোভিড বিধি মানার কথা বলেছি।
Be the first to comment