আর্যতীর্থ:
তিমিরনাশক তিনটি তারা মাঝ আকাশে বুঝিয়েছিলো
এসেছেন আলোর মানুষ মেষপালকের ছদ্মবেশে,
আঁধাররা সব তৈরী ছিলো, ক্রুশে বিঁধে শিক্ষা দিলো
রাজার রাজা শহীদ হলেন শুধু মানুষ ভালোবেসে।
সে যন্ত্রণার সাক্ষী ছিলো কাঁটার মুকুট, ক্রুশের পেরেক
যে যন্ত্রণা আলোরা পায় দেশে দেশে যুগে যুগে
আঁধার আসে ছদ্মবেশে, নানান রকম ধরে সে ভেক,
কত লোকের মদত থাকে আলো মারার সেই হুজুগে।
আঁধার মানে আর কিছু নয়, চোখের ওপর মস্ত ঠুলি,
বিরুদ্ধমত শুনলে পরেই তেড়ে তাকে মারতে যাবে
মিলতে পারে গাড়ির পেষণ, মারণবোমা কিংবা গুলি
দেখবে না যে পণ করেছে তাকে আলো কে দেখাবে?
বস্তুত এই আলোর মানুষ যেই দেশেতে আসেন যখন
একটি কথাই বলেন শুধু,আঁধার ঠেলে আলোয় চলো
মানুষগুলো চলে গেলেই কে জানে কি হয় যে তখন
কজনে আর তাঁর আলোকে মনে রাখে, সত্যি বলো?
আলোর কথা ভুলে তখন থাকে কিছু নিয়ম নিষেধ,
প্রার্থনা হয় কোন দিকে আর কি জিনিস খাওয়া বারণ
আর বেড়ে যায় ক্রমে ক্রমে আমি তুমি’র সেই ভেদাভেদ
আলো ভুলে আঁধার খুঁজে আবার মানুষ নেয় অকারণ।
উপড়ে ফেলে শান্তিবাণী আঁধার আনায় যুদ্ধটাকে
ধর্ম তখন অস্ত্র হয়ে কাটতে থাকে লোকের গলা
হিংসা তোলে মস্ত প্রাচীর আলোর গতি রুদ্ধ থাকে
ভিনধর্মী নিধনে হয় ধর্মবাজের কলার তোলা।
ভেবে দেখো, আবার কোনো আলোর মানুষ ফেরেন যদি,
দেখে কি খুব খুশী হবেন চলছে যেসব আজ দুনিয়ায়?
তাঁদের নামে মারছে মানুষ, উপচে ওঠে রক্তনদী
আলোকে যে মানুষ এখন মারছে পিষে আঁধার খাঁচায়!
আলোর মানুষ বংশী বাজান,আলোর মানুষ ঝোলেন ক্রুশে
মক্কাতে যায় কত লোকে আলোর মানুষ ভালোবেসে
আর কতকাল মন ভরাবে নিয়ম বিধি নিষেধ ঠুসে,
আলোতে নাও মন ভরিয়ে এবার দাঁড়াও বাইরে এসে।
Be the first to comment