সরকারি দফতরেগুলিতে বিদ্যুতের খরচ কমানোর জন্য নয়া প্রকল্প চালু করলো রাজ্য সরকার।রাজ্য সরকারের এই নয়া প্রকল্পের নাম ‘ আলোশ্রী’।সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজের অফিশিয়াল ট্যুইটার একাউন্টে এই প্রকল্পের ঘোষনা করেন।এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান,সরকারি প্রকল্প আলোশ্রী-তে সমস্ত সরকারি দফতর ও সরকারি স্কুলের ছাদে সোলার প্যানেল তৈরি করা হবে ৷ এর থেকে উৎপাদিত সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব আলো জ্বালানো সম্ভব হবে ৷ দূষণ ও খরচ কমাতে আলোশ্রী-র মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব শক্তির উপর জোর দিতে চাইছে রাজ্য ৷
এদিকে নবান্ন সূত্রে মারফত জানা গেছে, সরকারি দফতর ও স্কুলগুলির লম্বা বিদ্যুতের বিল মেটাতে রাজ্য সরকারের বহু টাকা খরচ হয় ৷ সেই খরচ কমাতেই সৌর বিদ্যুতের মতো অপ্রচলিত শক্তিতে বিনিয়োগ করতে চায় রাজ্য ৷
রাজ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে ও বিশ্বের বাজার ধরার জন্য জেলার দিকে নজর দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, জেলা ও গ্রামীণ এলাকায় দক্ষ শিল্পী ও শ্রমিক পাওয়া যায়। তাই পরিকল্পনা করে, ডেটা ব্যাঙ্ক তৈরি করে, অ্যাপ তৈরি করে ও রফতানির উপর জোর দিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে জোয়ার আনতে হবে।
সোমবার নিউটাউনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুজো এলে বোঝা যায় আমাদের গ্রামীণ ও জেলা এলাকায় কী দক্ষতার সঙ্গে শৈল্পিক ও সৃজনশীল কাজকর্ম হয়। যাঁরা এই সব কাজ করেন, তাঁদের কাছ থেকে আইডিয়া নিয়ে ও তাঁদের জিনিস বিপণনে সাহায্য করে বাংলার শিল্পকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এর জন্য জেলায় জেলায় ঘুরতে হবে বলে মমতা জানান। তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব ও আধিকারিকদের জেলা সফরে গিয়ে কাজ দেখার নির্দেশও দেন। জমি, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও দক্ষ শ্রমিক পাওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিশ্বের বাজার ধরার জন্য জেলায় রুরাল ক্লাস্টার ও শিল্প পার্ক তৈরি করার কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সব জেলার আধিকারিকদের বলছি, জেলায় গিয়ে কাজ করুন। মমতার কথায়, “আমি জেলায় গেলে কথা বলি সেখানকার শিল্পপতিদের সঙ্গে। জেলা ভাগ করে করে আমাদের মিটিং করতে হবে। জেলায় জেলায় প্রতিযোগিতা হোক। নিজেদের মধ্যে একটা অ্যাপস করা হোক নিজেদের সুবিধার জন্য। যেখানে নিজেদের সমস্যার কথা নিয়ে আলোচনা করা যাবে।”
Be the first to comment