হিজবুল মুজাহিদ্দিনে যোগ ২০০৬ সালে। তারপর ভারতে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। অবশেষে সেনা জওয়ানদের গুলির শিকার হতে হলো হিজবুলের এ++ ক্যাটেগরির কমান্ডার আলতাফ দার ওরফে আলতাফ কাচুরুকে।
বুধবার সকালে কাশ্মীরের অনন্তনাগে সেনার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ গুলি বিনিময় চলার পর অবশেষে মৃত্যু হয় আলতাফের। তার সঙ্গে আরও এক জঙ্গি মারা যায়। সেনা সূত্রে খবর, কাশ্মীরের জঙ্গি দল হিজবুল মুজাহিদ্দিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির খুব কাছের লোক ছিল এই আলতাফ। ওয়ানি মারা যাওয়ার পর তাকেই কুলগাঁওয়ে হিজবুলের জেলা কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়। কুলগাঁওয়েরই বাসিন্দা আলতাফ হিজবুলের এ++ ক্যাটেগরির কমান্ডার ছিল বলে সেনা সূত্রে খবর।
সেনা সূত্রে খবর, ওয়ানির মৃত্যুর পর আলতাফকেই পরবর্তী দলনেতা মেনে নিয়েছিল হিজবুল জঙ্গিরা। স্থানীয় যুবকদের মগজ ধোলাই করে নিজের দলে টেনে নিয়ে আসা, কাশ্মীর জুড়ে অশান্তি সৃষ্টি করা, জঙ্গি কার্যকলাপ চালানো এ সব খুব বেড়ে গিয়েছিল আলতাফের হাত ধরে। এমনকী গত কয়েক মাসে কাশ্মীর জুড়ে বিশেষ করে পুলওয়ামা, কুলগাঁওয়ে ঔরঙ্গজেব সহ আরও যে সব সেনা জওয়ান ও পুলিশকর্মী খুন হয়েছেন, তাতে আলতাফের সরাসরি যোগ রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে সেনার তরফে।
দু’বছর ধরে আলতাফের খোঁজ চালাচ্ছিল সেনা। অবশেষে গোপন সূত্রে সেনা খবর পায়, বেশ কিছু যুবককে হিজবুলে যোগদান করানোর জন্য অনন্তনাগে এসেছে আলতাফ। সেখানেই সেনার সঙ্গে গুলি বিনিময় হয় আলতাফের। অবশেষে হার মানতে হয় তাকে।
আলতাফের মৃত্যুর ফলে হিজবুলের অনেকটাই ক্ষতি হবে বলে ধারণা সেনা অফিসারদের। কিছুদিন আগেই ওয়ানি ও তারপর আলতাফের মৃত্যুর ফলে হিজবুল মুজাহিদ্দিনকে নেতৃত্ব দেওয়ার লোক এই মুহূর্তে নেই বলে সেনা সূত্রে খবর। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হিজবুলের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় সেনা।
Be the first to comment