আগে থেকেই সব কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছিল খোলা আকাশের নিচে হবে পত্রিকা প্রকাশের অনুষ্ঠান তথা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু রবিবার বিকেল ৩টে থেকে শুরু হলো ঝড়-বৃষ্টি। অনুষ্ঠানে সামিল হওয়া ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের মাথায় হাত। কি করে হবে তাদের বহুদিনের কাঙ্খিত এই অনুষ্ঠান। কেউ বলেছে গান করবে, কেউ নাচ করবে কেউ বা আবৃত্তি আবার কেউ বা একটু সেজেগুজে আসবে শ্রোতা হিসাবে। তাদের এই আকুলতা শুনবে না তা কখনো হয় নাকি, প্রকৃতি দেবীর দয়ায় থেমে গেলো বৃষ্টি। কিন্তু চোখ রাঙানী থামেনি। যথারীতি সন্ধ্যে ছটায় আরম্ভ হলো অনুষ্ঠান। একে একে আসতে লাগলো সবাই। কচিকাচাদের ভীড়ে ১৩ তারিখের রবিবার মাতৃদিবসের দিনেই আরম্ভ হলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবুও কপালে ভাঁজ এই বুঝি ঝাঁপিয়ে এলো বৃষ্টি। দুরের আকাশে বিদ্যুৎ চমকানোর ঝিলিক, এক কি দু ফোঁটা ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিকে সাথে নিয়েই এগিয়ে চললো অনুষ্ঠান। প্রকাশিত হল এক বছর পর আমাদের লেখা পত্রিকার নবম সংখ্যা, থিম – এসো গল্প বলি। হাওড়ার রামরাজাতলার এই সাংস্কৃতিক পত্রিকা ৫ বৎসরে পদার্পণ করলো। পত্রিকার সম্পাদক রাজকুমার ঘোষ। সম্পাদকের বাসভবনের ছাদে খোলা আকাশের তলায় হওয়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বনামধন্য সাহিত্যিক, সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত, ‘পান্ডব গোয়েন্দা’ রচয়িতা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। সম্পাদক ওনার হাতে তুলে দিলেন মোড়ক সহ পত্রিকা। ওনার হাত ধরেই প্রকাশিত হল আমাদের লেখার এই নবম সংখ্যা। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করল ছোট্ট ঋষভ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলো ‘মাই কম্পিউটার’ সেন্টারের কচিকাচারা অর্থাৎ ছাত্র-ছাত্রীরা। এদের অনেকেই তাদের গান, আবৃত্তি এবং নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে সমগ্র অনুষ্ঠানটিকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলেছিলো। বোধ হয় প্রকৃতিদেবীও খুশি হয়েছিলেন। তাই আর চোখ রাঙানী নয়। একটা সুন্দর পরিবেশে, খোলা আকাশের নিচে জমে উঠেছিল এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠানটির তদারকির দায়িত্বে ছিলেন ‘মাই কম্পিউটার’ সেন্টারের শিক্ষিকা পিয়ালি ঘোষ। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন আবৃতা দাস। আর যাদের কথা না বললেই নয়, তারা হল এই কমপিউটার সেন্টারের ছাত্র-ছাত্রীরা, এদের উৎসাহ উদ্দীপনা না থাকলে হয়তো সম্ভবই হতো না। তাই অভিজিত সাউ, সুপর্ণা দোলুই, তুফান মন্ডলরা চাইবে ‘এমন অনুষ্ঠান হোক মাঝে মাঝে, আমরা আছি আমাদের লেখা’র পাশে’।
Be the first to comment