সরশুনা এলাকার বাসিন্দা ৪৫ বছরের ওই বিজেপি নেত্রীর অভিযোগ ছিল, অমলেন্দু চট্টোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরেই মেলামেশা করছিলেন। তাঁকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে অনেক বারই তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। এই সময়ে তিনি তিন বার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন এবং প্রতি বারই চাপ সৃষ্টি করে গর্ভপাত করাতে তাঁকে বাধ্য করেন অমলেন্দুবাবু। তবে তাঁকে শেষ পর্যন্ত বিয়ে করেননি তিনি এবং সব যোগাযোগ বিছিন্নও করে দেন।
বিজেপি নেত্রীর এই অভিযোগ পাওয়ার পর অমলেন্দুবাবুর খোঁজ শুরু হয়। গত সোমবার দিল্লির করোলবাগ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এর পর অসুস্থতার জন্য তিনি ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। এ দিন তাঁকে দিল্লি থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়।
এ দিকে শনিবার বিকেলেই ইতালির মিলান শহরে সাংবাদিকদের মমতা বলেছেন, বিজেপি-আরএসএস তাদের গুপ্তচরদের নিয়ে এসে ইসলামপুরের স্কুলে হামলা চালিয়েছে। বাংলার রাজনৈতিক পরিবেশ বিষিয়ে দিতে চাইছে বিজেপি-আরএসএস। বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, অন্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলাকে গুলিয়ে ফেললে ওরা ভুল করবে। দাঙ্গার রাজনীতি বাংলায় চলবে না। মানুষ খুনের রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না। তারই পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবি জানিয়েছে আরএসএস।
পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির বনধের আগেই আরএসএস-বিজেপির হাওয়া বার করে দিতেই অমলেন্দুবাবুকে হাতিয়ার করা হয়েছে। ইসলামপুরের ঘটনায় আরএসএস যোগ নিয়ে যখন রাজনীতির ময়দান বেশ উত্তপ্ত, এমন সময় আরএসএস প্রচারক অমলেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসার ঘটনা তাই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
Be the first to comment