পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন ঘিরে মৃত্যু উপত্যকা হয়ে উঠল আমডাঙা। আগের রাত থেকেই নজির বিহীন ভাবে গুলি- বোমার ফোয়ারা ছুটল।ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। হাসপাতালে ভর্তি অন্তত চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আজ বুধবার বোর্ড গঠন। তার আগে মঙ্গলবার সন্ধে থেকে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল আমডাঙ্গার মরিচা , বোদাই, তারাবেরিয়া, বহিসগাছি এলাকায়। অন্ধকার নামতেই শুরু হয় নির্বিচার গোলাগুলি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে দীর্ঘক্ষণ পুলিশ ঢুকতে পারেনি এলাকায়। আমডাঙ্গা সহ প্রায় চারটি থানার পুলিশ একজোট হয়েও গ্যাঙওয়ারের মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়। ততক্ষণে বোমা গুলিতে মৃত্যু হয়েছে স্থানীয় সিপিআইএম নেতা মোজাফ্ফর পিঁয়াদা (৩৮), এবং দুই তৃণমূল কর্মী কুদ্দুস আলী গনি (৪৫) ও নাসির হালদারের।
রাতের দিকে আরও পুলিশ গিয়ে দেহ গুলি বার করে আনতে সমর্থ হয়। তৃণমূলের যে চারজনকে বারাসত হাসপাতালে আনা হয়েছে তাঁরা হলেন নাজিমুল গাজী , রবিউল , আনোয়ার হোসেন ও ফৈজল হক। আহতদের দেখতে ও এলাকার পরিস্থিতির খবর নিতে রাত এগারোটা নাগাদ বারাসত হাসপাতালে যান খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও আমডাঙ্গার বিধায়ক রফিকার রহমান ।
সিপিআইএমের অভিযোগ, বুধবার তাড়াবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস পিছিয়ে রয়েছে। তাই সকাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করে। অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্ব ঘটনার দায় চাপিয়েছে সিপিএম ও বিজেপির উপর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের টহলদারি চলছে গোটা এলাকায়। তবে আগের রাতের অভিজ্ঞতা থেকে ভয়ে কাঁপছেন এলাকার বাসিন্দারা।
Be the first to comment