ঝড়ের মূল টার্গেট এবার কলকাতা। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দিঘা ও হাতিয়া দ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়ার পর এই ঝড় ক্রমে এগিয়ে যাবে উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে। যা আসবে কলকাতার দিকেই। এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
খুব কাছে এসে গিয়েছে আমফান। দিঘা থেকে এখন এর দূরত্ব ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে আমফান , কলকাতা থেকে ২৫০-২৬০ কিলোমিটার। তবে বহু দূরত্ব অতিক্রম করেও এর তীব্রতা খুব একটা কমেনি, এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিসের তথ্য। শেষ ঘন্টা মাফিক আপডেট অনুযায়ী ঝড়ের গতিবেগ ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টাই রয়েছে। ১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা এর সর্বোচ্চ গতি। দিঘা ও হাতিয়া দ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়ার পর এই ঝড় ক্রমে এগিয়ে যাবে উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে। এগিয়ে আসবে কলকাতার দিকে।
রাজ্যের সাতটি জেলায় সরাসরি প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এদিকে রীতিমত জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে দিঘায়। বড় বড় ঢেউ চোখে পড়ছে সেখানে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এর জেরে সব ধরনের কাঁচা বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। পুরনো বাড়িগুলিরও কিছু ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি যোগাযোগ ও বিদ্যুতের খুঁটিগুলি উপড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ব্যাপক ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন স্থানে রেল লাইন ও রাস্তা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকছে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ফসল ও বাগানেরও ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খেজুর এবং নারকেল গাছ বেঁকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। বড় বড় গাছও উপড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
কলকাতার উপর দিয়ে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে৷ এর ফলে কলকাতাকেও লন্ডভন্ড করতে পারে ঘূর্ণিঝড়৷ শহরের বিপজ্জনক বাড়ি ও প্রচুর গাছ ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা ৷ তাই বিপজ্জনক বাড়ি থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে৷
এছাড়া বুধবার বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা-সহ ৭ জেলাকে লন্ডভন্ড করতে পারে ঘূর্ণিঝড়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দুই ২৪ পরগনা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর। কলকাতা ও উপকূলবর্তী জেলায় বইছে ঝোড়ো হাওয়া৷
Be the first to comment