নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার গোটা দেশ ৷ দিল্লির শাহিনবাগ থেকে কলকাতার পার্কসার্কাস প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তেই ৷ দক্ষিণ থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত আন্দোলনের আঁচ স্তিমিত হওয়ার নামই নিচ্ছে না ৷ মাস খানেকেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা বিক্ষোভ আন্দোলনেও মনোভাব বদলাচ্ছে না কেন্দ্র ৷ আর মঙ্গলবার লখনউয়ের দাঁড়িয়ে আরও একবার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হুঁশিয়ারি, ‘যত খুশি আন্দোলন করুন CAA থেকে এক পাও পিছোব না’৷
লাগাতার আন্দোলন সত্ত্বেও নিজ অবস্থানে দৃঢ় কেন্দ্র ৷ লখনউয়ের রামকথা পার্কের বিশাল জনসভা থেকে CAA বিরোধীদের এক হাত নিলেন অমিত শাহ ৷ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্পষ্টবার্তা, কোনও অবস্থাতেই নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার করা হবে না ৷ CAA-র কোনও বিরোধিতাকেই আমল দিচ্ছে না কেন্দ্র। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথায় আরও একবার স্পষ্ট৷ ফেব্রয়ারিতেই হবে CAA বিধি। দলীয় স্তরে এর আগেই জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। ৫ জানুয়ারি থেকেই দেশজুড়ে নাগরিকত্ব আইনে পক্ষে সমর্থন জোগাড়ে ঘরে ঘরে যাবে বিজেপি। রাজ্যে ৫০ লক্ষ উদ্ধাস্তু ও শরণার্থী পরিবারের কাছে পৌঁছনোর পরিকল্পনা।
নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে কীভাবে নাগরিকত্ব পাবেন উদ্বাস্তু ও শরণার্থীরা? কার কাছে আবেদন করতে হবে? কোনও নথি কী আদৌ লাগবে? এসব খুঁটিনাটি তথ্য নিয়েই তৈরি হচ্ছে নাগরিকত্ব বিধি। ফেব্রয়ারিতেই তা প্রকাশ করতে চলেছে কেন্দ্র। অর্থাৎ খুব তাড়াতাড়ি নাগরিকত্বের আবেদন নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হবে। কেন্দ্র যে কোনও বিরোধিতাকেই আমল দিচ্ছে না, শুক্রবার ফের তা স্পষ্ট করলেন অমিত শাহ।
এই অবস্থায় নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রচারে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি। ৫ জানুয়ারি থেকে ঘরে ঘরে প্রচারে যাবে বিজেপি। দেশজুড়ে ১ কোটি পরিবার ও ৩ কোটি মানুষের কাছে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পদ্ম শিবির।একুশের বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে রাজ্য বিজেপির কাছেও CAA প্রচার গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের হিন্দু উদ্বাস্তু ও শরণার্থী ভোটকে টার্গেট করেই পরিকল্পনা করছে বিজেপি।
Be the first to comment