অর্থনীতি আইসিইউতে ছিল, বাজেটের পর ভেন্টিলেশনে চলে গেলো: অমিত মিত্র

Spread the love

মোদী সরকারের বাজেটকে জনবিরোধী বলে আখ্যা দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের বক্তব্য পেশের পর তিনি বলেন, ভারতীয় অর্থনীতি আইসিইউ-তে ছিল। বাজেটের পর তা ভেন্টিলেশনে চলে গেল। এখন শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে।

অমিত মিত্র বলেন, “এই বাজেট জনস্বার্থ বিরোধী। চিন্তাভাবনাহীন। বেকারত্ব কমানোর জন্য কোনও দিশা নেই। কীভাবে কর্মসংস্থান হবে তা কেন্দ্রীয় বাজেটে বলা হয়নি। মধ্যবিত্তকে ভাঁওতা দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে। বাজেটের আগে দেশের অর্থনীতি আইসিসিইউতে ছিল। বাজেট পেশের পর তাকে ভেন্টিলেটরে পাঠিয়ে দেওয়া হল। জিডিপি গ্রোথ ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। সমস্ত সেক্টরেই দেশ পিছিয়ে ছিল। এরপর আরও পিছোবে দেশ। “

আয়কর প্রদান ব্যবস্থা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অমিত মিত্র বলেন, “পুরোটাই ধোঁকাবাজি। আপনাকে এক হাতে দেওয়া হচ্ছে, অন্য হাতে সব নিয়ে নেওয়া হছে। যার মূল্য চোকাতে হবে সাধারণ মানুষকে।” এলআইসি’র বিলগ্নিকরণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রীর মন্তব্য, “অলাভজনক সম্পদ হিসেবে জীবন বীমা নিগম ইতিমধ্যে আইসিইউ-তে ঢুকে গিয়েছে। এবার একে বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে গ্রাস করানো হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বাজেট পরিকল্পনা থেকে কিছুটা ভাবনা দত্তক নিতে পারতেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, “বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দ দেখে আমরা হতাশ হয়েছি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তফসিলি জাতি-উপজাতির উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি হয়নি, উল্টে কমানো হয়েছে। ৮.৯ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এই বাজেটের কোনও দিশা নেই। অথচ বাংলার সঙ্গে তুলনা করে দেখুন। এখানে কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধি ঘটেছে ৯ গুণ। সামাজিক পরিষেবা ক্ষেত্রে বাংলায় বৃদ্ধি হয়েছে ৪.৫ গুণ। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিশা। খুব দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, একশো দিনের কাজে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এটা দেখে আমরা অবাক। অথচ একশো দিনের কাছে বাংলা নম্বর ওয়ান। আমরা সব চেয়ে ভালো করেছি। শ্রমদিবস তৈরি এবং টাকা খরচে অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছি। ন্যাশনাল হেল্থ মিশনেও বাজেট বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এটা বাজেট হল? বেকারত্ব ঘোচাতে কোনও দিশা দেখানো হল না। কর্মসংস্থানের জন্য একটি শব্দও খরচ করা হল না।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*