ভিডিও সৌজন্যে- (পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি ফেসবুক)
বাংলা থেকেই ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করলো বিজেপি। এদিন মালদহের জনসভায় উপস্থিত হয়ে অমিত শাহ বলেন, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন বাংলার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এদিন অমিত শাহের মূল টার্গেট ছিলো তৃণমূল কংগ্রেস। নিজের বক্তব্যের শুরু থেকেই রাজ্য সরকারকে একাধিক ইস্যুতে বিঁধলেন তিনি। অমিত শাহ বলেন, এই নির্বাচন বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার নির্বাচন। এছাড়াও এদিন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলায় ২৩টির বেশী আসনে জেতান বিজেপিকে।
পাশাপাশি উঠে আসে জোট প্রসঙ্গও। এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, জোটের একটাই লক্ষ মোদী হঠাও, আর আমরা চাই দেশের সুরক্ষা, গরীবের মুক্তি। তিনি জানান, মজবুত সরকার একমাত্র বিজেপিই দিতে পারে, আর কেউ নয়। একটা মঞ্চে ৯ জন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। আর আমাদের একটাই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী, তিনি নরেন্দ্র মোদী। এদিন বিরোধীদের মহাজোটকে স্বার্থের জোট বলেও কটাক্ষ করেন অমিত শাহ। এছাড়া এদিনের সভামঞ্চ থেকে অমিত শাহ দাবি করেন, গরীব মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন মোদী। ৭০ বছরে ভারতে যা হয়নি তা ৫ বছরে হয়েছে। বিজেপি সরকার আয়ুষ্মান ভারতের অধিকার দিতে চাইছে। কিন্তু পুলিশ, প্রশাসন তা ছিনিয়ে নিচ্ছে।
অন্যদিকে এদিন অমিত শাহ বলেন; যত খুশি আটকান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। আমার হেলিকপ্টার পর্যন্ত নামতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও, এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ইটের বদলে পাটকেল ছুড়বে বিজেপি নেতা কর্মীরা। কর্মী-সমর্থকদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, লোকসভা ভোটে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নিশ্চিন্তে ভোট দেবেন জনতা।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বাংলায় অনুপ্রেবেশ হচ্ছে তৃণমূলের আমলে। বাংলায় মমতার নেতৃত্বে গণতন্ত্রকে গলা টিপে মারা হচ্ছে। রথযাত্রা নিয়ে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। কিন্তু তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আরও বেশি কাজ করে এবার মমতাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে।
এনআরসি ইস্যুতে তিনি বলেন, সব হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত। বাংলাদেশ থেকে যেসব হিন্দু পশ্চিমবঙ্গে আসছে, তাঁদেরও নাগরিকত্ব দেবে ভারত। লোকসভায় সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট’এর বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল, ওরা এটা চায় না। রাজ্যসভায় দেখি ওরা কী করে! পাশাপাশি আয়ুষ্মাণ ভারত প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আয়ুষ্মান ভারত যোজনা প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার টাকা দেয় কেন্দ্র। বাংলার মানুষ কেন ৫ লক্ষের সুবিধা পাবেন না? মোদীর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়, এই ভয়ে আয়ুষ্মান ভারতের কার্ড ছিনিয়ে নিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।
শুনুন এদিনের অনুষ্ঠানে কে কী বললেন?
Be the first to comment