কিছুদিন আগেই আঘাত হেনেছে আমফান। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ধেয়ে আসছে আরও এক ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ। দেশের অন্য এক প্রান্তে আঘাত হানবে সেই ঝড়, তাই ইতিমধ্যেই পরিস্থতি সামাল দিতে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মূলত গুজরাত ও মহারাষ্ট্রে এই ঝড় আছড়ে পড়বে। ৩ জুন সকালে এই ঝড় আছড়ে পড়বে বলে জানা গিয়েছে। সাইক্লোন আছড়ে পড়ার আগে প্রবল বৃষ্টি হবে বলেও জানা গিয়েছে। মুম্বই, থানে, রায়গড়, পালঘর, ভাপি, ভালসাদ, সুরাত, দিউ-দমন সহ একাধিক জায়গায় ওই বৃষ্টিপাত হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী এলাকা ও গুজরাতের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আরব সাগরে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে সাইক্লোন নিসর্গ। এটি একটি ক্রান্তিয় সাইক্লোন। ইতিমধ্যে উপকূল এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ জায়গায়।
জানা জাচ্ছে, কেরল, উপকূলবর্তী কর্নাটক, গোয়া ও মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী এলাকার জন্য আজ কমলা সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। আগামী ২৪ ঘন্টার জন্যে মহারাষ্ট্র উপকূল ও গোয়ার জন্য জারি রয়েছে কমলা সতর্কতা। আইমএমডি-র সাইক্লোন ওয়ার্নিং ডিভিশন জানিয়েছে, পূর্ব মধ্য আরব সাগর ও লাক্ষাদ্বীপে নিম্নচাপ ঘণীভূত হয়েছে, আগামী ১২ ঘণ্টায় তা আরও শক্তিশালী হবে। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুরু হতে পারে ঘূর্ণিঝড়। ২ তারিখ থেকে তা উত্তরমুখী হবে, তারপর যাবে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে। সেখান থেকে তা ঢুকতে উত্তর মহারাষ্ট্রে ও দক্ষিণ গুজরাত উপকূলে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, সাইক্লোণের প্রভাব ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝড় আছড়ে পড়বে। দক্ষিণ গুজরাত উপকূলে হাওয়ার গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। তবে আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ৩-৪ তারিখ ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার হতে পারে, গুজরাত উপকূলে তা বইতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে। সমুদ্রের অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Be the first to comment