রাজধানী দিল্লিকে সুরক্ষিত রাখতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ রবিবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, লেফ্টেনন্ট গভর্নর অনিল বইজাল, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷
এদিনের বৈঠক শেষে তিনি জানান, দিল্লিতে যেসব কন্টেইনমেন্ট জোন রয়েছে সেখানে আগামী সপ্তাহ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা হবে, যাতে করোনা রোগী চিহ্নিত হন এবং করোনা টেস্টও বাড়ানো হবে সেখানে ৷ এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
এছাড়াও করোনা মোকাবিলায় হাই রিস্কজোনে সরকারি আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক বলেই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ তবে বৈঠকের আগেই দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান যে, রাজ্যে ২০হাজার বেডের সংখ্যা বাড়াতে চলেছেন তাঁরা৷ ছোট ছোট যে নার্সিংহোমগুলি রয়েছে, সেখানে তৈরি হবে করার শয্যা ৷
এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ব্যাঙ্কোয়েট হল বা হোটেলগুলিতেও এই ব্যবস্থা করা হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেন, ১০ থেকে ৪৯ শয্যা যুক্ত ছোট বেসরকারি হাসপাতালগুলি করোনা হাসপাতাল করা হবে ৷ এতে প্রায় ৫হাজারটি বেড বাড়বে ৷ অন্যদিকে হোটেল ও ব্যাঙ্কোয়েট হল মিলে ১৫হাজার শয্যা প্রস্তুত করা সম্ভব হবে ৷
আর এর ফলেই এর ফলে অনেকটা মোকাবিলা করা যাবে রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি, এমনটাই মত সরকারের ৷ শুক্রবারই দিল্লিতে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার অব্যবস্থা নিয়ে কেজরিওয়াল সরকারকে কড়া ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ দিল্লির সরকারি হাসপাতালগুলিতে করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা ভয়াবহ আখ্যা দিয়ে রাজ্য সরকারের থেকে ব্যাখ্যাও তলব করেছে শীর্ষ আদালত ৷ একই সঙ্গে করোনায় মৃতদের প্রতিও দিল্লিতে যে আচরণ করা হচ্ছে, তারও কড়া সমালোচনা করে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ বিচারপতি অশোষ ভূষণের নেতৃত্বাধীন একটি ডিভিশন বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় নিজেদের এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে ৷
Be the first to comment