ভোটের বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অডিয়ো ক্লিপ ঘিরে উত্তাল রাজনীতি। তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে বিজেপি নেতার ফোনে কথোপকথনের রেকর্ডিং সামনে আসার পরই বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও শিশির বাজোরিয়ার অডিয়ো টেপ টুইট করে এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একুশের নির্বাচনে অডিয়ো টেপ ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বিজেপির জেলা কমিটির সহ-সভাপতি প্রলয় পালকে ফোন করেন মমতা। এই প্রসঙ্গে শাহ এদিন বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘রাজ্যে পরিবর্তন হবেই। পায়ের তলার জমি সরে গিয়েছে তৃণমূলের। ফোন করে আর কিছু হবে না।’ পাশপাশি, মুকুল রায় ও শিশির বাজোরিয়ার অডিয়ো টেপ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ফোন ট্যাপিং গণতন্ত্রের বিরোধী। ২ নেতার ফোন ট্যাপ কে করল? ওই কথোপকথনে যা আছে, তা তো আমরা কমিশনকে লিখিত আকারে জানিয়েছি। তাহলে কোথায় বোমা ফাটাল ওরা? কীভাবে লিক করা হল ফোনে কথোপকথন, সেটা জানতে চাই। কেমন গণতন্ত্র চলছে রাজ্যে! বিরোধীদের ফোন ট্যাপ করা কি ঠিক?’
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের অডিয়ো টেপ প্রকাশ্যে আসে। নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে মুকুল রায় ও শিশির বাজোরিয়ার কথোপকথনের অংশ টুইট করেছ তৃণমূল কংগ্রেস।
ওই অডিয়ো টোপে শিশিরের উদ্দেশে মুকুলকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন কবে আসছে?’ উত্তরে শিশির বলেন, ‘২১ তারিখ’। এরপরই মুকুল বলেন, ‘এজেন্ট হওয়ার জন্য কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম রাখলে হবে না। পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও ভোটার এজেন্ট হতে পারবে…আমাদের এটা বলতে হবে এবং কেন চাইছি। যে স্লিপগুলো বিলি হচ্ছে না, সেগুলো অবজার্ভারের কাছে ফেরত দিতে হবে। এই দুটো পয়েন্ট করে রাখো।’
এর আগে, বাংলায় প্রথম দফার ভোটগ্রহণের দিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অডিয়ো টেপ ভাইরাল হয়ে যায়। বিজেপির জেলা কমিটির সহ-সভাপতি প্রলয় পালকে ফোন করেন মমতা। ওই অডিয়ো টেপে মহিলা কণ্ঠ (যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলে দাবি) বলছেন, ‘তুমি ইয়ং ছেলে। আমাদেরও একটু সাহায্য কর।’ জবাবে প্রলয় পাল পুরনো প্রসঙ্গ টেনে বেশ কিছু কথা বলার পর বলেন,’কিছু মনে করবেন না দিদি। আমাকে মাফ করবেন।’
Be the first to comment