বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতিতে উঠে এল বাংলার ক্ষমতা দখলের কথা। বিধানসভা ভোটে মুখ থুবড়ে পড়ার পরও এরাজ্যে ক্ষমতা দখলের বিষয়ে প্রত্যয়ী শাহ-নাড্ডারা। কর্মসমিতির মঞ্চ থেকে শাহের বার্তা, বিজেপি খুব তাড়াতাড়ি বাংলা এবং তেলেঙ্গনায় ক্ষমতা দখল করবে। একই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এদিকে তাঁদের এই দাবিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “২০২০-২০২১ সালে বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করার সময়ও এ কথা ওঁরা বলতেন।”
তেলেঙ্গনায় বিজেপির দু’দিনের জাতীয় কর্মসমিতি চলছে। রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ রাজনৈতিক প্রস্তাব পেশ হয়। সেখানে পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেসের পাশাপাশি আঞ্চলিক দলগুলিকেও আক্রমণ করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেসকে বরাবরই আক্রমণ শানায় বিজেপি। এবার সেই একই কায়দায় আক্রমণ করা হবে আঞ্চলিক দলগুলিকেও। শাহের কথায়, “কংগ্রেস পারিবারিক দল হয়ে গিয়েছে। ভয়ে সভাপতি নির্বাচন করছে না। বাংলা, তেলেঙ্গানাতেও পারিবারিক দলের শাসন চলছে।”
গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্যও বেঁধে দেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সেকেন্ড ইন কমান্ড অমিত শাহ। বলেন, বিজেপি খুব তাড়াতাড়ি বাংলা এবং তেলেঙ্গানায় ক্ষমতা দখল করবে। একইসঙ্গে আরও তিন রাজ্য-ওড়িশা, কেরল এবং অন্ধ্রপ্রদেশেও ক্ষমতা দখল করবে বলেও আত্মবিশ্বাসী শাহ। রাজনৈতিক প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় আঞ্চলিকবাদ, পরিবারবাদ এবং তোষণ চলছে। এর বিরুদ্ধে উন্নয়নের রাজনীতি করবে গেরুয়া শিবির।
বিজেপিকে পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “বাংলায় মানুষের সরকার চলছে। পরিবারতন্ত্র নিয়ে কীভাবে প্রশ্ন তুলতে পারে বিজেপি? এ রাজ্যে তো অধিকারী পরিবারের সাইনবোর্ড ঝুলছে। রাজ্যে-রাজ্যেও তো পরিবারতন্ত্র চালায় ওরা।” বাংলা দখল নিয়ে বিজেপিকে তৃণমূলের খোঁচা, “২০১৯ সালে, ২০২০ সালে ডেইলি প্যাসেঞ্জার করার সময়ও এসব স্বপ্ন দেখত।”
Be the first to comment