ভোটপ্রচারে পাহাড়ে পা রেখে গোর্খাদের মন পাওয়ার চেষ্টা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার দার্জিলিঙের সভায় শাহ বলেন, ‘কেন্দ্র সরকার ও বাংলার বিজেপি সরকার গোর্খাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করবে। গোর্খাদের সঙ্গে ন্যায় আমরাই করব। বিজেপির সঙ্গে গোর্খাদের পবিত্র সম্পর্ক। ১১ গোর্খা জনজাতিকে তফশিলি সম্প্রদায়ের তকমা দেওয়া হবে। গোর্খাদের মতো বড় দেশভক্ত আর কেউ হয় না। গোর্খা ভাষাকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হবে। প্রসারভারতী, দূরদর্শনে নেপালি ভাষায় সম্প্রচার হবে। ‘ উল্লেখ্য, পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব দার্জিলিংবাসী। এই প্রেক্ষিতে একুশের নির্বাচনী প্রচারে এদিন শাহ যে স্থায়ী সমাধানের কথা বললেন, তা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন শাহ আরও বলেন, ‘রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়বে। পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘গত ৭০ বছর ধরে দার্জিলিঙের কোনও উন্নয়ন হয়নি। কংগ্রেস, বাম, দিদি সকলে দার্জিলিঙের উন্নয়নে ফুলস্টপ লাগিয়ে দিয়েছে।’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেবংয়ের সভায় আরও বলেন, ‘দিদি, আপনাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। ২ মে দার্জিলিঙে দীপাবলি হবে। আর আগুন জ্বলবে না। আমরা দুশোরও বেশি আসনে জিতব।’ শাহ বলেছেন, ‘দার্জিলিঙের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আমার প্রণাম। দার্জিলিঙের ভূমিপুত্রদের প্রণাম করছি। দেশের অন্যতম সুন্দর শহর দার্জিলিং।’
গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় মমতা, মেলেনি অনুমোদন
অন্যদিকে, শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে চারজনের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শাহ বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উস্কানি না দিলে এই ঘটমা ঘটত না। বাহিনীকে ঘেরাও করার উস্কানি দেন মমতা। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন তিনি। এই চারজনের মৃত্যুর জন্য কি ওঁর দায় নেই? মৃত্যু নিয়ে দু:খপ্রকাশ করেননি মমতা। শোকপ্রকাশেও বিভেদ, তোষণের রাজনীতি করছেন। ‘
শীতলকুচির ঘটনা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘বাহিনীর রাইফেল লুঠের চেষ্টা হয়। আত্মরক্ষায় গুলি চালায় বাহিনী। শীতলকুচির ঘটনা দু:খজনক। ভোটের লাইনে খুন হন আনন্দ বর্মণ।’ অমিত শাহ আরও বলেন, ‘এই ঘটনা ছাড়া বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হয়েছে। কথা দিচ্ছি, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক ও ভোটের হিংসা বন্ধ হবে।’
Be the first to comment