সংসদে দাঁড়িয়ে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই অভিযোগেই শাহের বিরুদ্ধে লোকসভায় স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব আনল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে শাহের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস জমা দিয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের চিপ হুইপ মানিকম টেগোর। শুক্রবারই বাদল অধিবেশনের শেষ দিন। কংগ্রেসের নোটিসের বিষয়ে ওই দিনই সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেন স্পিকার।
বুধবার অনাস্থা বিতর্কে নিজের ভাষণে ২০০৮ সালে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন অমিত শাহ। যেখানে রাহুলের নাম না নিয়ে তিনি বলেন, “ওই সাংসদ বুন্দেলখণ্ডের এক দরিদ্র মহিলার বাড়িতে গেলেন। সেই মহিলার নাম কলাবতী। সাংসদ তাঁর বাড়িতে খেলেন। তার পর সংসদে এসে তাঁর দুরবস্থার কথা তুলে ধরলেন। কিন্তু তার পর জানেন কী হল?” ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে এরপর শাহ জানান, ওই ঘটনার পর ৪ বছর কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু কলাবতীর কোনও উন্নতি হয়নি। সেই কলাবতীকে পাকা বাড়ি, শৌচালয়, কম মূল্যে রান্নার গ্যাস আর বিনা পয়সায় রেশন কারা দিয়েছে শুনবেন? মোদি সরকার দিয়েছেন। আর অদ্ভুতভাবে সে দিন ওই সাংসদ যে কলাবতীর দুঃখের কথা বলেছিলেন, সেই কলাবতী এখন এই মোদি সরকারকেই সমর্থন করেন।”
যদিও শাহের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশ-মধ্যপ্রদেশ সীমানার বুন্দেলখণ্ড নয়, কলাবতী ছিলেন মহারাষ্ট্রের বিদর্ভের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী ছিলেন পেশায় কৃষক, যিনি ঋণের জালে জড়িয়ে ২০০৫ সালে আত্মঘাতী হন। সংসদে কলাবতীর প্রসঙ্গ উঠে আসে ভারত-আমেরিকা পরমাণু চুক্তি প্রসঙ্গে। ২০০৮ সালে এ প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, এই চুক্তি হলে গ্রামীণ ভারতে কীভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা যাবে তা বিশদে জানিয়ে ছিলেন রাহুল। এবং সেই প্রসঙ্গেই তিনি কলাবতীর উল্লেখ করে বলেন, “জীবনভর উনি বিদ্যুৎহীন বাড়িতে রয়েছেন।”
Be the first to comment