ক্রমশ রাজ্যের দিকে এগিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়। আর কয়েক ঘণ্টা পরই আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে মৌসম ভবন। বাংলায় প্রবল ক্ষতি হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে কেন্দ্র।
এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে থাকার বার্তা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন তিনি। একদিকে মহামারীর মাঝেই এই ঝড়ের জেরে তৈরি হয়েছে নতুন আশঙ্কা। তাই, এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আশ্বাস দেন অমিত শাহ। বলেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে পাশে থাকবে কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে, আগামী ৬ ঘণ্টার মুধ্যে প্রবল ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে এই ঝড়। ক্রমশ এটি এগিয়ে আসছে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে। মৌসম ভবন থেকে শেষ পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবারের আগে আছড়ে পড়বে না এই সাইক্লোন।
মঙ্গলবার সকালে আইএমডি জানিয়েছে, সুপার সাইক্লোন আমফান আগামী ৬ ঘণ্টায় বেশ কিছুটা শক্তি হারাবে, কমবে অতি ভয়াবহতা।
জানানো হয়েছে, সময়ের বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমফান ক্রমশ উত্তর-উত্তরপূর্বে বঙ্গোপসাগরের উত্তরপশ্চিমে সরে যাবে। পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের উপকূল দিঘা এবং হাতিয়া দ্বীপের কাছে অর্থাৎ সুন্দরবন এলাকায় ২০ তারিখ বিকেলে আছড়ে পড়তে পারে।
এই ঝড়ের জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলেও। ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা সহ একাধিক উপকূলবর্তী অঞ্চলে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দিঘায় পৌঁছেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দিঘা ও সুন্দরবনের কাছ থেকে অতিক্রম করার সময় এই সুপার সাইক্লোন আমফানের তীব্রতা ভয়ঙ্কর হতে পারে। সেই সময় গতিবেগ থাকবে ১৬৫-১৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২০ মে আবহাওয়া অত্যন্ত খারাপ থাকবে রাজ্যের।
Be the first to comment