আগামী সপ্তাহে হরিয়ানায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক। সব কটি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সচিব ও পুলিশ অধিকর্তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী, আধাসেনা নিয়ে জরুরি বৈঠকের পৌরহিত্য করবেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। আগামী ২৭ ও ২৮ অক্টোবরের ওই বৈঠকে যোগ দিতে তিনি হরিয়ানা যাবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী, পুলিশ বিভাগের আধুনিকীকরণ-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ২৭ ও ২৮ তারিখ হরিয়ানার সুরজকুণ্ডে সেই বৈঠক হবে। সবকটি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের অধিকর্তাদের ডাকা হয়েছে সেই বৈঠকে। বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। তাই এই বৈঠকে বাংলার তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আমন্ত্রিত। অমিত শাহ চান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই থাকুন ওই বৈঠকে।
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হরিয়ানায় যাবেন নাকি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কলকাতায় বসেই ওই বৈঠকে যোগ দেবেন, তা এখনও জানা যায়নি। কারণ ওই সময় বঙ্গে উৎসবের রেশ থাকবে। ২৭ তারিখ ভাইফোঁটা। প্রতি বছর দলের নেতা-কর্মীদের ভাইফোঁটা দেন তৃণমূল নেত্রী। দিনভর তাঁর বাড়িতে অনেকের আনাগোনা থাকে। ফলে সেসব ছেড়ে তিনি হরিয়ানায় অমিত শাহর বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, দেশের সুরক্ষা ও আধাসেনার কাজকর্ম নিয়ে আলোচনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নিজের মতামতও রাখবেন তিনি। সেক্ষেত্রে ভিডিও কনফারেন্সেও যোগ দিতে পারেন।
বাংলায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের কাজকর্ম নিয়ে একাধিক বিতর্ক আছে। তাদের কাজের পরিধি ১৫ কিলোমিটার থেকে বেড়ে ৫০ কিলোমিটার করায় আপত্তি রয়েছে রাজ্য সরকারের। এছাড়া গরু পাচার মামলায় জড়িয়েছে বিএসএফের নাম। এই পরিস্থিতিতে হরিয়ানার বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Be the first to comment