বছর ঘুরে দেশে ফের করোনার ধাক্কা। করোনার সুনামিতে টালমাটাল গোটা দেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধাণ ভারতের পরিস্থিতি দেখে বলছেন, ‘হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে।’ এই অবস্থায় দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র। দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন মোদী-অমিত শাহরা। স্বাস্থ্য পরিষেবা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তা নিশ্চিত করতে সব রকমের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থাও। আর ১ মে থেকে দেশে শুরু হচ্ছে টিকাকরণের নতুন পর্যায়। ১৮ বছরের বেশি বয়সি প্রত্যেকে টিকা নিতে পারবেন। তার আগে দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে বসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার বিকেলে জরুরি বৈঠকে বসবেন তিনি।
এ দিন বিকেল ৪টেয় সেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। অমিত শাহ ছাড়া্ও সেই বৈঠকে থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, রেল মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এ দিন মূলত ভ্যাকসিন ও অক্সিজেনের জোগানের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। ১ মে থেকে এক নতুন পর্যায়ের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আজ, বুধবার বিকেল ৪টে থেকেই কো-উইন অ্যাপে রেজিস্টার করাতে পারবেন। এছাড়া ভ্যাকসিনের দাম নিয়েও সম্প্রতি প্রশ্ন উঠেছে। সব মিলিয়ে দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া যাতে সুস্থভাবে হয়, সেই ব্যবস্থা নিতেই এ দিন বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। উল্লেখ্য, কম সময়ে সবথেকে বেশি মানুষকে টিকা দিয়ে রেকর্ড গড়েছে ভারত।
মঙ্গলবারও দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অমিত শাহ। সার্বিক স্বাস্থ্য পরিষেবার কী অবস্থা, তা নিয়ে সেই বৈঠকে পর্যালোচনা করেন তিনি। বিশেষত অক্সিজেনের পরিস্থিতি, ওষুধের পরিমান ও হাসপাতাল সহ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে রিপোর্ট নেন তিনি। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় দেখাশোনা করছেন এমন তিনটি টিম বৈঠকে বসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পেশ করেন তাঁরা।
মঙ্গলবার করোনা সংক্রান্ত এক স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বিচারপতিরা জানতে চান, অক্সিজেনের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে কেমন? এরপর ২০০ পাতার হলফনামায় পরিকল্পনার কথা জানায় কেন্দ্র। হলফনামায় কেন্দ্র জানায়, ‘অক্সিজেন উৎপাদন বাড়াতে ও দেশের সব জায়গায় যথাযথভাবে যোগান দিতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন মোদী ও অমিত শাহ।’
Be the first to comment