বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে সপ্তম পে কমিশন চালু হবে। নামখানার জনসভা থেকে এমনটাই ঘোষণা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, এ রাজ্যের সরকার মানুষকে যে বঞ্চনা করেন, তার বিরুদ্ধেই লড়বে বিজেপি। বাংলায় শুধু সরকার গড়াই লক্ষ্য নয়, তৃণমূলের সিন্ডিকেটরাজ শেষ করাও লক্ষ্য।
এদিন শাহি-মঞ্চ থেকে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন টলিপাড়ার জনপ্রিয় মুখ হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এক সময় হিরণ রাজ্যের শাসকদলের বেশ ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। হঠাৎ তাঁর এই ‘দল বদল’-এ খানিকটা অস্বস্তি তৃণমূলের অন্দরে। বৃহস্পতিবার নামখানায় অমিত শাহ মঞ্চে বক্তব্য রাখতে ওঠার পরই দর্শকাসন থেকে এক মহিলা কালো পতাকা ওড়াতে শুরু করেন। রীতিমতো বাঁশের ব্যারিকেডে উঠে পড়েন তিনি।পতাকায় লেখা, ‘কৈখালি শিক্ষা সমিতি’। কে ওই মহিলা, কেনই বা এই ঘটনা তিনি ঘটালেন তা এখনও স্পষ্ট হয়। তবে বিষয়টি নজরে আসে শাহরও। তিনি মঞ্চ থেকে বার্তা দেন, “ওনাকে সসম্মানে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিন।”
পাশাপাশি তিনি বলেন বাংলায় শুধু সরকার গঠনই লক্ষ্য নয়, তৃণমূলের সিন্ডিকেটরাজ শেষ করারই পাখির চোখ। নামখানায় বললেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “আমরা চাই গরীবদের জীবনে উন্নতি আনতে, সোনার বাংলা গড়তে। তার জন্য পরিবর্তন চাই। নামখানার আওয়াজ কলকাতায় দিদির কানে পৌঁছে দিন।” সরকারে এলে সাগরের মানুষের উন্নতিতে ঘুর্ণিঝড়ের জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স গড়া হবে বলে জানান শাহ। একইসঙ্গে ৪ লক্ষ মৎস্যজীবীকে কিষাণ নিধির মতো সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানান। মাসে তাঁরা ৬ হাজার টাকা করে পাবেন, ঘোষণা শাহের।
অমিত শাহ আরও জানান, বিজেপি ক্ষমতায় এলে দেশের পর্যটন মানচিত্রে নতুন জায়গা পাবে গঙ্গাসাগর। তেমনটাই জানালেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “এখানকার গঙ্গাসাগর মেলাকে আরও বড় করে আন্তর্জাতিক মাপে নিয়ে যাওয়া হবে। অন্তঃরাষ্ট্রীয় টুরিস্ট সার্কিটে স্থান পাবে এই গঙ্গাসাগর মেলা।” একইসঙ্গে সাগরকে ঢেলে সাজিয়ে পর্যটন ও এখানকার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করারও কথা বলেন তিনি।
অমিত শাহ বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে গোটা দেশজুড়ে নমামি গঙ্গে প্রকল্প চলছে। কিন্তু বাংলায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এদিন সাগর তটে দাঁড়িয়ে সে বিষয় তুলে ধরেন অমিত শাহ। বলেন, এটা দেখলে খারাপ লাগে। গঙ্গোত্রী থেকে নমামী গঙ্গে প্রকল্পে পবিত্র গঙ্গাকে দূষণ মুক্ত করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলায় এসে সে প্রকল্প থমকে যায়। এ রাজ্যে বিজেপি সরকারে আসার পর এখানে তা সম্পূর্ণ হবে। নির্মল জলের আস্বাদ পাবে রাজ্য। বিজেপি এই কাজের সুযোগ পাবে, এটাও সৌভাগ্যের।
Be the first to comment