দেশের ইতিহাসের অন্ধকারময় অধ্যায়, জরুরি অবস্থার বর্ষপূর্তিতে কংগ্রেসকে তোপ অমিত শাহের

Spread the love

যাঁরা একটা পরিবারের বিরুদ্ধে গলা তুলেছিলেন, তাঁদের কণ্ঠরোধ করতেই ১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল ৷ জরুরি অবস্থা জারির ৪৬তম বর্ষপূর্তিতে এই ভাষাতেই কংগ্রেসকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ এই ঘটনা স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে একটা অন্ধকারময় অধ্যায় বলে দাবি করেছেন তিনি ৷

টুইটারে অমিত শাহ লিখেছেন, “একটি পরিবারের বিরুদ্ধে গলা তোলার জন্য জরুরি অবস্থা জারি করাটা স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে অন্ধকারময় অধ্যায় ৷ যে সব দেশবাসী ২১ মাস ধরে নির্মম শাসনকালে নৃশংস অত্যাচার সহ্য করে দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নিরলস সংগ্রাম চালিয়েছেন, তাঁদের আত্মবলিদানকে কুর্নিশ জানাই ৷” ক্ষমতার স্বার্থপরতা ও ঔদ্ধত্যের কারণে কংগ্রেস জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল বলে তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

দেশে জরুরি অবস্থা জারির ৪৬ বছরের পূর্তিতে কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ৷ তাঁর অভিযোগ, জরুরি অবস্থার সময়ে ভারতের গণতান্ত্রিক নীতিকে পদদলিত করেছিল কংগ্রেস ৷ তিনি টুইটে লেখেন, “জরুরি অবস্থার সেই অন্ধকার সময় কখনও ভোলার নয় ৷ ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলির নিয়মিত ধ্বংসের সাক্ষী থেকেছে দেশ ৷ ভারতের গণতান্ত্রিক অগ্রগতিকে আরও শক্তিশালী করতে আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করতে হবে এবং আমাদের সাংবিধানিক নীতিগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে ৷”

দেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অন্যতম বিতর্কিত অধ্যায় হল জরুরি অবস্থা ৷ ১৯৭৫ সালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল ৷ সে বছর ২৫ জুন সংবিধানের ৩৫২ ধারা প্রয়োগ করে আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি অবস্থা জারি করেন তত্কালীন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ ৷ জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয় ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*