মালদহে অমিত শাহ যা বলেছেন তা শুনে মনে হচ্ছে বাংলা বা ভারতের সংস্কৃতির যে ঐতিহ্য তার কোনওটাই ওঁর জানা নেই। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার যে তাঁরা রাজনীতিগতভাবে দেউলিয়া হয়েছেন। অতএব যে গণতান্ত্রিক অধিকার তাঁরা পেয়েছিলেন তা হারাতে চলেছেন। তাই তাঁদের কথায় ভারসাম্যহীনতা লক্ষ করা যাচ্ছে। মঙ্গলবার অমিত শাহের বক্তব্য প্রসঙ্গে এভাবেই পাল্টা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিন তিনি আরও বলেন, বাস্তব অবস্থায় তাদের যে জনভিত কেঁপে গিয়েছে তা তাঁরা ভালোমতোই বুঝতে পেরেছেন। আর তাতেই তাদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। তিনি যা বকছেন তাতে মালদহের মানুষ হাসছেন।
পাশাপাশি পার্থবাবু জানান, আসন্ন নির্বাচনে তাদের ফলাফল একটি বড় শূন্য। তাঁরা যেখানে যাবেন বাংলার মানুষ তাদের অসংযত ব্যবহারের বিরুদ্ধে যাবেন। তিনি বলেন, আমাদের সমাজতন্ত্র যে সব মানুষকেই নাগরিকত্ব দেন সেই বিষয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অমিতবাবু। এটা বিজেপি ভুলে যাচ্ছে যে, ভারতের গণতন্ত্র সুদৃঢ়। তাই ভারতের গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাইলেও তা কখনোই সম্ভব হবে না।
পাশাপাশি এদিনের সভা প্রসঙ্গে পার্থবাবু জানান, ৬টা লোক জোগাড় করার ক্ষমতা নেই। যেখানে যাবেন সেখানে ৩ হাজার লোক জোগাড় করতে পারবেন না আর উনি হেলিকপ্টারে নামার কথা বলছেন।
এছাড়াও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে ডিএ প্রসঙ্গও। তিনি জানান, ডিএ যা দেওয়ার আমরাই দিচ্ছি। আমরা টাকা ছাপাই না। আগে মাইনে দিতে পারতো না। আর এখন ডিএ নিয়ে চেঁচাচ্ছে। ১ তারিখে মাইনে নিশ্চিত করার কেউ ব্যবস্থা করে নি। যা তৃণমূল কংগ্রেস সরকার করে দেখিয়েছে। তাও ওদের কথা বন্ধ হয়নি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আয়ুষ্মান প্রকল্প নিয়ে বলেন, উন্মাদ না হলে কেউ এরকম কথা বলে না। ওদের যে মিথ্যাচার, সেটা আমরা করতে দিই নি। আমাদের কৃতিত্বকে ছোটো করে দেখিয়ে অদেরটা বড় করে দেখালে তা কেন মেনে নেব? বিজেপির এরাজ্যে শুধু শূন্য, শূন্য আর শূন্য। ওনাদের বক্তব্য যে ওনারা যেটা ভালো মনে করবেন, সেটাই ঠিক।
এছাড়াও ইভিএম প্রসঙ্গেও সরব হন পার্থবাবু। তিনি বলেন, ইভিএম যে সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত নয়, তা আমরাই প্রমান করেছিলাম। ভোটে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ইভিএমই যে দরকার তা আমরা বলি নি। তবে ইভিএমকে প্রভাবিত করা যায়।
Be the first to comment