প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পর এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নিরাপত্তায় বড়সড় গলদ। নিজেকে নিরাপত্তা আধিকারিক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘক্ষণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশেপাশে ঘোরাফেরা করলেন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। তাঁর গলায় আবার ঝুলছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরিচয়পত্র। যদিও বড় কোনও অঘটন ঘটানোর আগেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনাটি সোমবারের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সেসময় ছিলেন মুম্বইয়ে। লালবাগচা রাজার গণেশ উৎসবে শামিল হওয়ার পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে এবং উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সূত্রের খবর, অমিত শাহর নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই গলদটি ঘটে দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের বাড়িতেই। সেখানে অমিত শাহ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। তখনই সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে শাহর আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তাঁর গলায় আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরিচয়পত্র ঝুলছিল। ফলে কেউ প্রথমে সন্দেহও করেনি।
বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করার পর ওই ব্যক্তি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অন্য এক আধিকারিকের নজরে পড়েন। তারপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকরা চেপে ধরলে ওই ব্যক্তি নিজেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক হিসাবে দাবি করেন। নিজের পরিচয় দেন অন্ধ্রপ্রদেশের সাংসদের আপ্তসহায়ক হিসাবে। তাতে সন্দেহ আরও বাড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তাদের। তাঁরা মুম্বই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আধিকারিকরা এসে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে নিজের পরিচয় ভাঁড়িয়ে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। স্থানীয় এক আদালতে তোলা হলে তাঁকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আপাতত ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মুম্বই পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম হেমন্ত পওয়ার। বাড়ি মহারাষ্ট্রের ধুলেতে। তিনি দাবি করেছেন, বৈধ উপায়েই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে ঢুকেছিলেন তিনি। পুলিশ তাঁর দাবি খতিয়ে দেখছে। উল্লেখ্য, এ বছরের গোড়ার দিকে পাঞ্জাবে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তায় গলদের অভিযোগ উঠেছিল। সে নিয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে বিস্তর বাক-বিতণ্ডা চলেছে। এবার বিজেপি শাসিত রাজ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
Be the first to comment