উত্তরবঙ্গে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হলে মোদীকে চাই ৷ উত্তরবঙ্গে বিকাশ ঘটাতে হলে মোদীকে চাই কারণ, মোদী কাজ করেন ‘থ্রি ভি মডেল’-এ (বিকাশ, বিশ্বাস, ব্যাপার বা ব্যবসা) আর দিদি কাজ করেন ‘থ্রি টি মডেল’-এ (তানাশাহি, তোলাবাজি, তুষ্টিকরণ)৷ শুক্রবার কোচবিহারের শীতলকুচির জনসভায় ঠিক এই ভাষাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷
আগামী ১০ এপ্রিল ভোট হবে কোচবিহারের ন’টি আসনে ৷ একই দিনে ভোট হবে আলিপুরদুয়ারের পাঁচ বিধানসভা কেন্দ্রেও ৷ এদিন তারই প্রচারে শীতলকুচিতে জনসভা করেন অমিত শাহ ৷ সভামঞ্চে আগাগোড়া তৃণমূল সুপ্রিম তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আক্রমণ করেন তিনি ৷
অমিত শাহের অভিযোগ, ‘দিদি’ বরাবরই উত্তরবঙ্গকে অবহেলা করেছেন ৷ তাঁর কথায়, রাজ্যের রাজধানী ‘‘কলকাতা থেকে কোচবিহারের দূরত্ব ৭০০ কিলোমিটার ৷ কিন্তু দিদির হৃদয় থেকে কোচবিহারের দূরত্ব ৭ হাজার কিলোমিটার ৷ চা, সিঙ্কোনার বাগান থেকে তামাক চাষ, পাকা রাস্তা থেকে রাজবংশীদের উন্নয়ন ৷
অমিতের অভিযোগ, কোনও ক্ষেত্রেই কোনও কাজ করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কারণ, মমতা উত্তরবঙ্গের কল্যাণ নিয়ে ভাবেন না ৷ তিনি শুধু ভাবেন নিজের ভাইপোর কথা ৷ ভাইপোর উন্নতি, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন করাই মমতার একমাত্র লক্ষ্য বলে তোপ দাগেন অমিত শাহ ৷
কেন্দ্রীয়স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর মতে, কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গের সবথেকে বড় সমস্যা হল অনুপ্রবেশ ৷ আর দিদির পক্ষে এই অনুপ্রবেশ ঠেকানো সম্ভব নয় ৷ অমিতের আশ্বাস, বাংলায় বিজেপির সরকার গঠিত হলেই বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা করে অনুপ্রবেশ ১০০ শতাংশ ঠেকানো হবে ৷
অমিত শাহের অভিযোগ, ‘দিদি’র সরকার চলে ‘থ্রি টি মডেল’-এ ৷ যার অর্থ তানাশাহি, তোলাবাজি ও তুষ্টিকরণ অর্থাৎ অমিতের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন স্বৈরাচারী৷ তোলাবাজি এবং স্বজনপোষণই তাঁর সরকারের প্রধান বৈশিষ্ট্য ৷ যদিও ২ মে-র পর এই পরিস্থিতি আর থাকবে না বলেই দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কারণ, এবারের নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত বলেই তাঁর দাবি ৷ এমনকি, নন্দীগ্রামেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যাবেন, সে বিষয়েও আত্মপ্রত্যয়ী অমিত শাহ ৷
Be the first to comment