বিবেকানন্দর বাড়ি পরিদর্শন অমিত শাহের

Spread the love

শুক্রবার মাঝরাতে কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন অমিত শাহ। শনিবার সকালে এনআইএ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলায় একের পর এক বিস্ফোরণ, মুর্শিদাবাদে আলকায়দা যোগ নিয়েই সম্ভবত এইআইএ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

বৈঠক শেষে উত্তর কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে যান অমিত শাহ। স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক ভিটে পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির ১১ জনের প্রতিনিধিদল। সিমলা স্ট্রিটে বিবেকানন্দের বাড়িতে মহারাজদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। জলযোগও সারেন সেখানে। মহারাজরা বেশ কিছু বই ও উত্তরীয় উপহার দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। এদিকে বাইরে তখন হাজার হাজার বিজেপি কর্মী ও সমর্থকের ভিড়। কেন্দ্রীয় নেতাকে একবার স্বচক্ষে দেখতে চান তাঁরা। ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা।

এদিকে রাজনৈতিক জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার সন্ধিক্ষণে শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, আজই মেদিনীপুরের সভায় বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহলের তরফে জানা গেছে কলকাতা থেকে একইসঙ্গে মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা শুভেন্দুর।

তবে আজ সিমলা স্ট্রিট সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই বিষয়ে কিছুই বললেন না অমিত শাহ । বরং, স্বামী বিবেকানন্দের জীবনদর্শনের কথাই তুলে ধরলেন তিনি। বললেন, স্বামীজি তাঁর স্বল্প জীবনদশাতেই ভারতের জ্ঞান, ভারতের দর্শন গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করেছিলেন। যখন অ্যামেরিকায় সর্বধর্ম সম্মেলন হয়েছিল, তখন স্বামীজি একটি মাত্র বাক্যের মাধ্যমে হিন্দু সনাতন ধর্ম বিশ্বের মানুষের সামনে তুলে ধরে ছিলেন । স্বামীজি এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি আধুনিকতা এবং আধ্যাত্মিকতাকে যুক্ত করেছিলেন।

অমিত শাহ আরও বলেন, ” স্বামীজি গোটা দেশকে আহ্বান করেছিলেন আগামী পঞ্চাশ বছর গোটা দেশবাসী যেন অন্য দেবদেবীর আরাধনা ছেড়ে শুধু ভারত মাতার আহ্বান করেন । আর সেই দিনের ঠিক পঞ্চাশ বছর পর দেশ স্বাধীন হয়েছিল । আজ স্বামীজির জন্মস্থানে এসে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি । একটা পুণ্য অর্জন করে এখান থেকে ফিরছি । আমি আজও বিশ্বাস করি, ৫০ বছর আগে স্বামীজি যতটা প্রাসঙ্গিক ছিলেন, আজও ততটাই প্রাসঙ্গিক আছেন । সেদিন স্বামীজির চিন্তাভাবনা যতটা প্রয়োজন ছিল, আমি মনে করি আজ তার থেকে বেশি প্রয়োজন। স্বামীজির দেখানো পথে চলার জন্য আমাদের সকলকে যেন ভগবান আর্শীবাদ দেন, সেই প্রার্থনা করছি। অনুপ্রেরণা প্রার্থনা করছি। এই পথ শুধু ভারত নয়, সমগ্র বিশ্বের পথপ্রদর্শক হয়ে উঠবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*