‘রিপোর্ট নেগেটিভ’, ভুয়ো, মিথ্যে খবরে বিরক্ত অমিতাভ

Spread the love

করোনা ভাইরাসকে জয় করেছেন বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমনই খবর রটেছিল। তবে তা সঠিক নয় বলে নিজেই জানালেন অভিনেতা স্বয়ং। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে খবর রটে, কোভিড ১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে অমিতাভ বচ্চনের। শিগগিরই অমিতাভকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

তবে এই খবর ভুল, দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ভুয়ো বলে জানিয়েছেন বিগ বি। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, এই খবর ভুল, দায়িত্বজ্ঞানহীন, ভুয়ো ও মিথ্যে। গত ১২ জুলাই কোভিড ১৯ রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ায় মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় অমিতাভকে। অমিতাভ নিজেই ট্যুইটারে করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান। লেখেন, আমি করোনা আক্রান্ত হয়েছি। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

সেই রাতেই মুম্বইয়ের ভিলে পার্লের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। নানাবতী হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, করোনার লক্ষণ রয়েছে অমিতাভের শরীরে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই আইসোলেশনে ছিলেন। ৭৭ বছরের অভিনেতা হাসপাতালের ভর্তি হওয়ার পরই জানানো হয় যে তাঁর ছেলে অভিষেক বচ্চনেরও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁকে সেই রাতেই নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও সেই রাতে জানানো হয়, বচ্চন পরিবারের বাকি সবার রিপোর্ট নেগেটিভ।

তবে তার পরের দিনই করোনার দ্বিতীয় পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ও তাঁর ৮ বছরের কন্যা আরাধ্যা বচ্চনের। তাঁরা বাড়িতেই কোয়ারানটিনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কয়েকদিন পর তাঁদেরও হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। যদিও অমিতাভ পত্নী জয়া বচ্চন ও তাঁদের পরিবারের অন্য সবার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

হাসপাতালে থাকাকালীন নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন বিগ বি। ইনস্টাগ্রামে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘যাঁদের মনে সব সময়ে অন্যের প্রতি ঈর্ষা থাকে, অন্য মানুষের প্রতি সব সময়ে বিরক্তি থাকে, যাঁরা সর্বক্ষণ অসন্তুষ্ট থাকেন, যাঁরা সবাইকে সব সময়ে সন্দেহের চোখে দেখেন, এমন সব মানুষের থেকে নিজেদের যতটা সম্ভব দূরে রাখা বাঞ্ছনীয়।’

 অমিতাভ বচ্চন একই বিষয়ে একটি ব্লগ পোস্টও করেন এবং সেখানে তিনি শেষে আরও একটি লাইন যোগ করেন… ‘যাঁরা বোঝার ঠিক বুঝে যাবেন, আর যাঁরা বুঝবেন না তাঁরা নিঃসন্দেহে আনাড়ি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*