রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বোলপুরে তৈরি হয়েছে বেড়াতে যাওয়ার নতুন ঠিকানা। বোলপুর শহর থেকে পনেরো কিলোমিটার দূরে চৌপাহাড়ির জঙ্গলে হাতছানি দিচ্ছে উড ফসিল পার্ক। মূলত বিভিন্ন গাছের জীবাশ্ম সংরক্ষণ করতেই তৈরি হয়েছে পার্ক। ফসিল পার্ককে ঘিরে উপার্জনের রাস্তা পেয়েছে আদিবাসী পরিবারগুলিও।
বোলপুর থেকে ইলামবাজার যাওয়ার রাস্তায় চৌপাহাড়ির জঙ্গল। লাল মাটির রাস্তা। লালমাটি লেপটে বাঁচে আদিবাসীদের গ্রাম আমখই। সেখানেই অপেক্ষা করে থাকে অনেক গাছ। আজ প্রাণ নেই… একসময় ছিল.. পরিচয় ছিল ফুলে-ফলে। এখন মাটিতে গেঁথে নেই শিকড়.. তাই স্মৃতির শিকড় আঁকড়ে
আমখই গ্রামে বিভিন্ন গাছের জীবাশ্ম নিয়ে তৈরি হয়েছে ফসিল পার্ক। বোলপুর শহর থেকে পনেরো কিলোমিটার দূরে এই পার্কটি তৈরি করে পর্যটন দফতর। এরপর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তুলে দেওয়া হয় বনদফতরের হাতে। ২০০৬ সালে একটি পুকুর কাটার সময় কিছু গাছের জীবাশ্ম উঠে আসে। সেই জীবাশ্মগুলি সংরক্ষণ করতেই উদ্যোগী রাজ্য সরকার।
ফসিল পার্কের ভিতরে লাগানো হয়েছে সৌর বিদ্যুতের আলো। পার্ক দেখভাল করে আমখই গ্রামের ২৮টি আদিবাসী পরিবার। তাঁরাই তৈরি করেছে একটি খাবারের দোকানও। উপার্জিত টাকা গ্রামের উন্নয়নের কাজে লাগান আদিবাসীরা।
পার্কের ভিতরে একটি পুকুর কাটার কাজ চলছে। সেখানে মাছ চাষের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়াও পার্কটিকে ঘিরে কটেজ তৈরির ভাবনাও আছে রাজ্য সরকারের। গাছেদের ইতিহাসের ভিড়ে.. ভিড়ে যেতে, দু’হাত বাড়িয়ে ডাকছে আমখই।
Be the first to comment