উম্পুন তার ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল বুধবার সন্ধেয়। কয়েক ঘণ্টার তাণ্ডবে তছনছ করে যায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অনেকগুলি জেলা। নজিরবিহীন এই বিপর্যয়ের জের কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে বলে আগেই জানিয়েছিল প্রশাসন। সেই আশঙ্কা সত্যি করে এখনও বিভিন্ন এলাকা যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।
গাছ উপড়ে গিয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে রয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। ধ্বংসের প্রভাব এতটাই যে এখনও পর্যন্ত বহু এলাকায় পৌঁছতেই পারেননি পুরসভা ও বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীরা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় নেই বিদ্যুত্ পরিষেবা। দক্ষিণের বেহালা, বাঁশদ্রোণী, কুঁদঘাট, নেতাজিনগরে বিদ্যুত্ পরিষেবা বিপর্যস্ত। বিদ্যুত্ পরিষেবা ব্যাহত কামালগাজি, সোনারপুর, গড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায়। এখনও বিদ্যুত্ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়।
পরের দিন থেকেই কাজ করছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তবে সমস্যা বাড়িয়েছে লকডাউন। গ্রাম থেকে কর্মীদের আনা যাচ্ছে না বলে বিপাকে পড়েছেন কনট্র্যাকটররা। প্রত্যেক বরোতে গড়ে তিন-চারটে টিম কাজ করছে। তাতে ছয়-সাতজন কর্মী আছেন। কেন্দ্রীয় ভাবে ২৪টা দল কাজ করছে। কিন্তু একটা গাছ কেটে তাকে সরাতে গড়ে দেড় থেকে দু-ঘন্টা সময় লেগে যাচ্ছে। আর শহরে গাছ পড়েছে ১২৫০০। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই গোটা শহরকে ছন্দে ফেরাতে সময় লেগে যাচ্ছে।
আর এতেই ধৈর্য্য হারাচ্ছেন বুধবার থেকে বিদ্যুত্হীন-জলহীন মানুষ। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বিদ্যুত্ সংযোগ চালু করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদিও, এই কাজে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে বিদ্যুত্ বিভাগের কর্মীদের। এই অবস্থায় অশান্তির খবরও মিলেছে।
Be the first to comment