এক জওয়ানের প্রাণের বদলে তিন প্রতিপক্ষের লাশ ফেলার নির্দেশ দিক কেন্দ্রঃ অমরিন্দর সিং

Spread the love

মারের বদলে মার, প্রাণের বদলে আরও প্রাণ। এমনই দাবি করলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। বৃহস্পতিবার তিনি এমনই দাবি করেছেন কেন্দ্রের কাছে। গালওয়ান ভ্যালিতে চিনা সেনার ব্যবহার নৃশংস ও বর্বর বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

এদিন তিনি বলেন কেন্দ্রের নির্দেশ দেওয়া উচিত, প্রতি একজন ভারতীয় সেনার প্রাণের বিনিময়ে ৩ জন করে শত্রু সেনার প্রাণ নিতে হবে। উল্লেখ্য অমরিন্দর সিং ১৮৬৩-১৯৬৬ পর্যন্ত ভারতীয় সেনায় দেশ সেবায় ব্রতী ছিলেন। লাদাখে যে ভারতীয় সেনারা শহিদ হলেন, সেই প্রাণের দাম কে দেবে, প্রশ্ন তাঁর।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমরিন্দর সিং বলেন ভারতীয় জওয়ানদের যেভাবে মারা হল, তার কড়া জবাব চাইছে দেশ। কেন্দ্রকে কোনও পদক্ষেপ নিতেই হবে। যদি তারা আমাদের একজনকে মারে, আমরা তাদের তিনজনকে মারব। এই নীতিতেই নির্দেশ দিতে হবে কেন্দ্রকে।

অমরিন্দর সিং এদিন আরও জানান, তিনি একজন মুখ্যমন্ত্রী বা একজন রাজনীতিক হিসেবে একথা বলছেন না। তিনি ভারতীয় সেনার এক গর্বিত সদস্য ছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই এই কথা বলছেন তিনি।

কেন ভারতীয় সেনা এদিন চিনা সেনার ওপর গুলি চালালো না, বা কেন সেই নির্দেশ দেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। প্রত্যেক দেশবাসী গালওয়ানে কি হয়েছে তা জানতে চাইছে বলে এদিন মন্তব্য করেন অমরিন্দর সিং। অমরিন্দরের দাবি, চিন যদি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ হয়, তবে ভারতও কিছু কম নয়। ভারত অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ। এটাই তাঁর শক্তি।

ভারত-চিন সীমান্তে চরম সংঘাতে একাধিক ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছেন। গত দু’দিন আগেই এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। আর তারপর থেকেই দফায় দফায় দিল্লিতে চলছে বৈঠক। তবে পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি।

প্রসঙ্গত, সীমান্তে ২০ জন শহিদ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে একজন আর্মি অফিসার ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকের দেহ ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই ওই এলাকায় মোতায়েন করা আর্মি ইউনিটের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রত্যেক ঘণ্টায় ৩ জন ডিভিশনাল কমান্ডারের সঙ্গে কথা হচ্ছে লে কর্পস কমান্ডারের। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। তবে চিন আরও বেশি করে আলোচনার দাবি জানিয়েছে।

তিনটি পয়েন্টে বিশেষত আর্মি ইউনিটের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষ প্যাংগং লেকের ধারে পরিস্থিতি উত্তেজনাময়। গত ৪০ দিনে একাধিকবার ভারত ও চিনের সেনা ওই পয়েন্টে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। .

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*