অমৃতসরে রাবণ দহন দেখতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ৬১ জনের মৃত্যুর ঘটনা দু দিন পেরিয়ে গেছে। এখনও চলছে দোষারোপ পালটা দোষারোপের পালা। ঘাতক ট্রেনের চালককে ইতিমধ্যেই ক্লিনচিট দিয়েছে রেল। বরং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ আনা হয়েছে কেবিন ম্যানের বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই জবানবন্দি দিলেন ঘাতক ট্রেনের চালক। বললেন, ট্রেনে পাথর ছোঁড়া হচ্ছিল বলেই বাধ্য হয়ে ট্রেন চালিয়েছিলেন তিনি।
দুর্ঘটনার পর রেল যতই চালককে ক্লিনচিট দিক, সাধারণ মানুষের রাগ তাতে কমছিল না। অত লোক থাকা সত্বেও চালক কেন ট্রেনের গতি কমাননি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃত ও আহতদের আত্মীয়রা। তার মধ্যেই এ দিন বয়ান দিলেন ডিএমইউ ট্রেনের চালক অরবিন্দ কুমার। শুক্রবার তিনিই ট্রেন চালাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র গুডস গার্ড মিথিলেশ কুমার।
৩২ বছর বয়সী এই চালক তাঁর বয়ানে বলেন, হঠাৎ করেই লাইনের উপর অনেক মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তিনি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হর্নও বাজিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাজির শব্দে লাইনে দাঁড়ানো মানুষরা সেই হর্নের আওয়াজ শুনতে পাননি বলেই দাবি করেছেন তিনি। শেষ মুহূর্তে এমারজেন্সি ব্রেক কষেন অরবিন্দ। কিন্তু ততক্ষণে কিছু মানুষ ট্রেনের তলায় চলে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এমনকী ট্রেন থেমে গেছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু সেই সময় বাইরে থাকা লোকেরা ট্রেনের উপর পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন বলে অভিযোগ করেছেন চালক। এই পাথরের আঘাতে ট্রেনে থাকা যাত্রীদের ক্ষতি হতে পারত। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই নাকি ফের ট্রেন চালিয়েছিলেন তিনি বলে দাবি করেছেন অরবিন্দ।
তবে চালকের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন দুর্ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত জনতা। তাঁদের অভিযোগ, ট্রেন তো থামেইনি, বরং গতি আরও বাড়িয়ে তা বেরিয়ে যায় বলে দাবি করেছেন তাঁরা। দুর্ঘটনার ভিডিওতেও কোথাও ট্রেন থামতে দেখা যায়নি। তাহলে এমন দাবি কেন করলেন চালক? প্রশ্ন উঠছে।
Be the first to comment