রোজদিন ডেস্ক :- ফের কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরের বাড়িতে দুষ্কৃতী হানা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বালিগঞ্জের ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকে পড়ল অজ্ঞাত পরিচিত এক ব্যক্তি। বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল কাউন্সিলর। পরে আটক করা হয় ওই ব্যক্তিকে।
কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে, বৃহস্পতিবার আরেক তৃণমূলের কাউন্সিলরের সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের বালিগঞ্জ প্লেসের বাড়িতে ঢুকে পড়ল অজ্ঞাত পরিচিত এক ব্যক্তি। সিসিটিভি ক্যামেরায় ঘটনাটি ধরা পড়ে৷ তাঁকে বাড়ির চারিদিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সিঁড়ি দিয়ে উপরেও উঠে যান তিনি৷ বিষয়টি নজরে আসতেই গড়িয়াহাট থানায় খবর দেওয়া হয়৷ খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এরপর সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়৷ কী কারণে তিনি তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে ঢুকেছিলেন, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির কাছ থেকে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা অন্য সন্দেহজনক বস্তু উদ্ধার হয়নি। তবে ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত তৃণমূল কাউন্সিলর।
জানা গিয়েছে, কাউন্সিলররের তিনতলা বাড়ির ছাদে কাজ চলছে। সেখানে মিস্ত্রিদের যাতায়াত রয়েছে। সেজন্য প্রবেশের গেট খোলা থাকে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ কাউন্সিলর বাড়িতে আসেন। আর ২ টো ৪০ মিনিট নাগাদ এক ব্যক্তি তাঁর প্রবেশ পথে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। বাড়ির আনাচেকানাচে সে ঘুরতে থাকে। সিঁড়ি দিয়ে তাকে উপরে উঠতেও দেখা যায়। কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ওই ব্যক্তির গতিবিধি ছিল সন্দেহজনক। দুষ্কৃতীরা যেমন হামলার আগে রেকি করে যায়,তেমনই। তার গতিবিধি ঠিক সেরকই মনে হয় কাউন্সিলরের।
উল্লেখ, এই প্রথম নয়, এর আগেও সুদর্শনার বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। সেবার বাথরুমের জানালার কাচ খুলে বাড়িতে ঢুকে আলমারি-সহ গোটা বাড়ি কার্যত লন্ডভন্ড করে দেওয়া হয়েছিল। সোনার অলঙ্কার, নগদ টাকা-সহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। সেই সময় বাথরুম ও রান্নাঘরের কলও খুলে নিয়ে গিয়েছিল। এবার ফের অজ্ঞাতপরিচয়ের আনাগোনা নজরে আসতে সোজা থানায় গেলেন তিনি।
Be the first to comment