সবার নজর এখন শুক্রবারের অনাস্থা প্রস্তাবের দিকে। সংখ্যার বিচারে সরকারের কোনও অসুবিধা না হওয়ারই কথা। তবুও নানারকম অঙ্ক ভেসে বেড়াচ্ছে রাজধানীর ক্ষমতার অলিন্দে। ৫৩৫ আসনের লোকসভায় এনডিএ-র হাতে ৩১৩ সাংসদ। তার মধ্যে বিজেপির ২৭৩। অনাস্থা ভোটে জেতার জন্য দরকার ২৬৮। সেটা একা বিজেপিই জোগাড় করতে পারবে নিজের জোরে। তবে বিজেপির শত্রুঘ্ন সিনহা, কীর্তি আজাদ, সাবিত্রীবাই ফুলের মতো বিক্ষুব্ধরা নিশ্চিতভাবেই অনাস্থার পক্ষে থাকবেন না।
তবু বিরোধীদের অঙ্ক ১৫ বছর আগেকার অটলবিহারী বাজপেয়ির সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থাকে ঘিরেই। ২০০৩ সালে বিজেপির পক্ষে ৩১২ ভোট জোগাড় করা কঠিন হয়নি। বিরোধীরা পেয়েছিল ১৮৬টি। সেবারও ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ আর দিল্লির ভোট ছিল সামনে। বিধানসভার ভোট দিল্লি ছাড়া অন্যত্র কংগ্রেস হারলেও তারা বিরোধীদের এককাট্টা করে পেরেছিল, যার ফলশ্রুতি ২০০৪ সালে বিজেপির হার। এবারও বিরোধী জোট ক্রমশই দানা পাকাচ্ছে। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদে সম্মিলিত বিরোধী প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হচ্ছে। তাদর বক্তব্য, অনাস্থায় ভোটাভুটিই শুধু নয়, লোকসভা নির্বাচনের আগে সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরাটাই বড় লক্ষ্য।
এবার সরাসরি শিবসেনা কিছু না বললেও তাদের হয়ে বিজেপির অনন্ত কুমার আগাম জানিয়েছেন, এনডিএ-র সবথেকে পুরানো সঙ্গী শিবসেনা অনাস্থার বিপক্ষেই ভোট দেবে। তাঁর দাবি, এনডিএ অটুট। অন্যদিকে, বিরোধীদের দাবি, শিবসেনার ১৮ জন সাংসদ অনাস্থার পক্ষেই ভোট দেবেন। বিজেডি কী করবে সেদিকেও নজর সবার। তাদের ২০ এমপি রয়েছে লোকসভায়। এআইডিএমকে সরকারের পক্ষে ভোট দেবে বলে ধরে নিলেও কাবেরী ইস্যুতে তারা কোনদিকে দাঁড়ায় তা নিয়েও কৌতূহল রয়েছে। শেষবার ২০০৮ সালে বামেদের আনা অনাস্থা ভোটে তৃণমূল অনুপস্থিত ছিল। সভায় ছিল না জেডি (ইউ), শিবসেনা আর অকালি দল।
Be the first to comment