দাবি আদায়ে পাল্টা আন্দোলনের জের! সিদুলী খোলামুখ খনির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

Spread the love


দাবি আদায়ে ফের আন্দোলন, এবার তৃণমূলের পতাকা নিয়ে আন্দোলনের নামলো দলেরই অপর একটি গোষ্ঠী। যার জেরে বন্ধ হয়ে গেল সিদুলি খোলা মুখ খনির কাজ। ইসিএল-এর কেন্দা এরিয়ার সিদুলি খোলা মুখ খনির কাজ শুরু হয়েছিল গত বছর ডিসেম্বর মাসেই। কাজ শুরু হতেই পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ, স্থানীয়দের কাজে নিয়োগ সহ একাধিক দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল “সিদুলি গ্রাম বাঁচাও” কমিটি। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তথা তৃণমূল নেতা শ্যামলেন্দু অধিকারী ও তার গোষ্ঠীর অন্যরা। দাবি আদায়ের প্রতিশ্রুতি না পাওয়ায় সেই সময় কমিটির বাধায় কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন বাদে দুর্গাপুরে এডিডিএর কার্যালয়ে সব পক্ষকে নিয়ে এই বিষয়ে একটি বৈঠক হয়।

বৈঠকে গ্রামবাসীদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানায় খনি কর্তৃপক্ষ। শুরু হয় নতুন ওসিপি খননের কাজ। কিন্তু এক মাস পরেও প্রতিশ্রুতি পুরনে সংস্থা উদ্যোগী না হওয়ায় ফের কাজ বন্ধ করে দেয় কমিটির সদস্যরা। দিন কয়েক আগে সংস্থার পক্ষ থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়। ফের শুরু হয় ওসিপি খননের কাজ। কিন্তু গতকাল সোমবার শাসক দলের অপর একটি গোষ্ঠীর লোকজনেরা কাজে বাধা দেয় বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। ফের বন্ধ হয়ে যায় খননের কাজ। এদিন মঙ্গলবার তৃণমূলের পতাকা নিয়ে সিদুলি কোলিয়ারি কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান ওই গোষ্ঠীর সদস্য ও সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে দলের জেলা যুব সহ সভাপতি এম,ডি ওয়াসিম জানান সিদুলি এলাকার সাধারণ মানুষজনের দাবি নিয়েই আমাদের আন্দোলন। পুনর্বাসন, বিকল্প খেলার মাঠ ও স্থানীয়দের কাজে অগ্রাধিকারের দাবি জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে। তাদের সাথে আলোচনা করেই দাবিগুলি পূরণ করতে হবে।

“সিদুলি গ্রাম বাঁচাও” কমিটির অস্তিত্ব মানি না বলে দাবি করেন এদিনের বিক্ষোভকারীরা। সিদুলি কোলিয়ারির এজেন্ট আর,কে,পি সিং জানান এদিন বিক্ষোভকারীরা দাবি জানাতে এসেছিলেন। সমস্ত দাবি লিখিত আকারে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তাদের। লিখিত পেলে এই বিষয়ে মন্তব্য করব বলে জানান তিনি। এদিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কালোবরন মণ্ডল বলেন দলের পতাকা নিয়ে কাউকে আন্দোলন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে তারা দলের কেউ নয় বলেও জানান তিনি। আন্দোলন পাল্টা আন্দোলনের জেরে সমস্যায় পড়েছেন খনি কর্তৃপক্ষ। খনির ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*