তবে কী আবার দলে প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে সিপিএম নেতা অনিল বসুর?

Spread the love

বাম কর্মীদের একাংশের দাবি ছিলই। এ বার সেই দাবিতে সিলমোহর দিয়ে দিলেন সিপিএম নেতারাই।

বিতর্কিত তথা বহিষ্কৃত সিপিএম নেতা অনিল বসু বেশ কয়েকদিন ধরে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি। কিন্তু হঠাৎই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল চক্রবর্তী, প্রাক্তন সাংসদ সুধাংশু শীল। সঙ্গে ছিলেন ট্রেড ইউনিয়ন ফ্রন্টের আরেক নেতা প্রশান্ত নন্দী চৌধুরী। এ কথা আবার শ্যামলবাবু ফলাও করে লেখেন তাঁর ফেসবুকে। এরপরই গুঞ্জন শুরু হয়েছে সিপিএমের ভিতর। তাহলে কি আরামবাগের প্রাক্তন সাংসদকে আবার পার্টিতে ফিরিয়ে আনা হবে?

এলাকার ওই জেলা কমিটির সদস্যরা দলে অনিলপন্থী হিসেবেই পরিচিত। প্রসঙ্গত, ফুটবল বিশ্বকাপ চলার সময় চুঁচুড়া অন্তারবাগানে নিজের বাড়িতে পড়ে গিয়ে কোমরে আঘাত পান ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৬ লক্ষের কাছাকাছি ভোটে জেতা সাংসদ। সেই সময় বাইপাসের ধারের হাসপাতালে ভর্তি হন। সিপিএমের একটি সূত্রের দাবি, সেই সময় অনিলবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে তদ্বির করেছিলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার এক শীর্ষ সিপিএম নেতা।
২০১২ সালের জুন মাসে অনিল বসুকে বহিষ্কার করে সিপিএম। হুগলি জেলা পরিষদের ব্যান্ডেজ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ছিলেন দাপুটে এই সিপিএম নেতা। তদন্ত কমিশন গঠন হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এই সময়ই সস্ত্রীক সাংবাদিক বৈঠক করে বিমান বসু-সহ একাধিক আলিমুদ্দিনের নেতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন একসময়ের আরামবাগের বেতাজ বাদশা। এরপরই সিপিএম বহিষ্কার করে অনিল বসুকে।
২০১১ সালে ভোটের আগে আরামবাগে একটি প্রচার সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন অনিল বসু। শুধু তাই নয় সিঙ্গুর পর্বে শ্রীরামপুরে জেলা দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চুলের মুঠি ধরে কালীঘাটে বসিয়ে দিয়ে আসতে পারেন তিনি। পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার রাজনীতিতে যাঁরা সংবাদ শিরোনামে আসার জন্য খেউড় করে সস্তার জনপ্রিয়তা পওয়ার চেষ্টা করেছেন অনিল বসু তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
অনিল বসুর বহিষ্কারের পর যতগুলি ভোট হয়েছে প্রায় সব ভোটেই অন্যান্য জেলার মতো হুগলিতেও মুখ থুবড়ে পড়েছে বামেরা। যে আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট এলাকায় একটা সময় লাল ঝাণ্ডা ছাড়া অন্য কিছু দেখাই যেত না এখন সেখানেই সিপিএম খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তাঁর অনুগামীরা মাঝে মাঝেই দাবি করেন অনিল বসু থাকলে এতটা খারাপ দশা ওখানে হতো না। যদিও অনিল বিরোধী গোষ্ঠীর দাবি, ১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তো অনিল বসু দলে ছিলেন। তখনও তো গোঘাট (ফরওয়ার্ড ব্লক) ছাড়া ওই মহকুমায় একটাও আসন জিততে পারেনি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*