প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ডঃ আনিসুজ্জামান

Spread the love

বৃহস্পতিবারই থেমে গিয়েছিল জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি তথা বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামানের পথ চলা। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এল এক দুঃসংবাদ। প্রয়াত শিক্ষাবিদের ভাই আখতারুজ্জামন জানিয়েছেন তাঁর দাদা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। নমুনা পরীক্ষায় তেমনই রিপোর্ট পাওয়া গেছে। সেনা হাসপাতালের চিকিৎসকরা গত ১০ মে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলেন। সেই সময় রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু মৃত্যুর পর করা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা নাগাদ আনিসুজ্জামান শেষ ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

জানা গিয়েছে, গত ২৭ এপ্রিল প্রবল অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামান। প্রথমে ঢাকা ইউনিভার্সাল কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, কিডনি, উচ্চ রক্তচাপসহ শরীরে একাধিক জটিলতা ছিল। পরিস্থিতি সংকটজন হওয়ায় তাঁকে সামরিক হাসপতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার মৃত্য হয় বিশিষ্ট সাহিত্যিকের।

বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। ভারত ভাগের পর তাঁরা পূর্ববঙ্গে চলে আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন আনিসুজ্জামান। এই ভূখণ্ডে ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদবিরোধী নানা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল তাঁর। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকপ্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

পাশাপাশি বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ এম আবদুল মোমেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদও শোক প্রকাশ করে শোকবার্তা দিয়েছেন।

তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়ও।

কী বললেন তিনি?

ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=3098931000165122&id=100001447571340

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*