অনুব্রত মণ্ডল সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় খুশির হাওয়া বিজেপিতে। কোনও কোনও জেলায় ঢাক বাজানো হয়েছে। কোথাও আবার গুড়-বাতাসা কিংবা নকুলদানা বিলি করেছেন বিজেপি সমর্থকরা। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ভোটের আগে বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতর মুখে শোনা যেত, চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে, গুড়-বাতাসা খাওয়ানো হবে, নকুলদানা খাওয়ানো হবে, এই ধরনের শব্দবন্ধ শোনা যেত। বিরোধীদের লক্ষ্য করেই তিনি এসব হুমকি দিতেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি গ্রেফতার হওয়ার পরেই জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীর পথে নেমে পড়েছেন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এর আগে নয়বার অনুব্রতকে সিবিআই তলব করেছে। তার মধ্যে তিনি একবার মাত্র হাজিরা দিয়েছেন। সোমবার এবং বুধবারও তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি কি আইনের বাইরে, প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়ে তিনি বীরভূম জেলায় গত কয়েক বছরে যা খুশি তাই করে গিয়েছেন। বিরোধী কর্মী, নেতাদের মারধর করেছেন, তাঁর নির্দেশে একাধিক বিরোধী কর্মী খুন হয়েছেন। গরু, বালি, কয়লা, পাথর পাচার হয়েছে তাঁর নির্দেশে। বিরোধী নেতা বলেন, যাঁর বা যাঁদের নির্দেশে অনুব্রত নানা অপকর্ম করেছেন, তাঁদের নাম তিনি এবার সিবিআইকে জানাবেন বলে আশা করব।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এটাই তো হওয়ার ছিল। তিনি বারবার সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়ে যাবেন। আর সিবিআই কি ছেড়ে দেবে। আমি তো আগেই বলেছিলাম, খাঁচা প্রস্তুত আছে। যাঁর খাঁচায় ঢোকার কথা ছিল, তিনি অনেকদিন বাইরে ছিলেন। এবার তিনি খাঁচায় ঢুকে পড়লেন। এক এক করে অন্যরাও ঢুকবেন।
দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ টুইটে লেখেন, অনুব্রতর খেলা শেষ। দুদিনে সিবিআই তিনজনকে গ্রেফতার করল। আরও অনেকে লাইনে রয়েছেন। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, গত কয়েক বছর ধরে অনুব্রত বীরভূম জেলায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তিনি নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে বলে মনে করতেন। এই গ্রেফতারি আরও আগে হওয়া উচিত ছিল।
Be the first to comment