ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের এজলাসে মামলাটি করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়। মামলার দ্রুত শুনানির আরজি জানান তিনি। বৃহস্পতিবার ওই মামলার পরবর্তী শুনানি।
ভোট পরবর্তী হিংসায় ইলামবাজারের গোপালনগর গ্রামে ২ মে খুন হয়েছিলেন বিজেপি নেতা গৌরব সরকার। ভোটের ফল প্রকাশের দিন বিকেলে গোপালনগর গ্রামে শাসকদলের একটি বিজয় মিছিল বের হয়। গৌরব এবং তাঁর ভাই সৌরভ বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। অভিযোগ, মিছিল থেকে কয়েকজন এসে দুই ভাইকে রড দিয়ে মারতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গৌরবের। সৌরভকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেই ঘটনায় মোট ২৪ জনের নামে ইলামবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ইলামবাজার থানার পুলিশ প্রথমে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। তারা ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরপর সাতজন আত্মসমর্পণ করে। ৮ জন অভিযুক্ত ফেরার।
গত বছর নভেম্বর মাসে তাদের বিরুদ্ধে গ্রামে ঢেঁড়া পিটিয়ে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। তাদের আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরে ৮ জন আত্মসমর্পণ করে। ধৃতদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১২ জন জামিন পেয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় অনুব্রত মণ্ডলের নাম জানতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। তাই তাঁকে সিবিআই ক্যাম্পে গত শুক্রবার তলব করা হয়। যদিও অসুস্থ জানিয়ে হাজিরা এড়ান অনুব্রত মণ্ডল। তাই বৃহস্পতিবার ফের তাঁকে বীরভূমের ইলামবাজারের ক্যাম্পে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
সিবিআই তলবের পরই বুধবার সকালে কলকাতা হাই কোর্টে রক্ষাকবচের আবেদন জানান অনুব্রত মণ্ডল। সাড়ে দশটা নাগাদ আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় মামলা করেন। কেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা আরোপ করা হল, সেই প্রশ্ন তোলেন। মামলার দ্রুত শুনানির আরজি জানান। বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন অনুব্রত মণ্ডল।
Be the first to comment