বীরভূম থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। আগামিকাল (বুধবার) সিবিআইয়ের অফিসে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাহলে কি এবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে চলেছেন অনুব্রত মণ্ডল? মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর কলকাতার উদ্দেশে রওনা হওয়া ঘিরে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য, গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। চারবার নোটিস দেওয়ার পরেও হাজিরা দেননি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
পাশাপাশি হাইকোর্টে রক্ষাকবচ চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত ১১ মার্চ বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। পরে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলে সেখানেও আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়।
এদিকে হাইকোর্ট থেকে আইনি রক্ষাকবচ না পাওয়ার পরপরই পঞ্চম বারের মতো নোটিস পাঠায় সিবিআই। আগামী ৬ এপ্রিল (বুধবার) হাজিরা দিতে বলা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এরই মধ্যে আগামিকাল কি তিনি আদৌ হাজিরা দিতে যাবেন? হঠাৎ করেই বীরভূম থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হওয়া ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও অনুব্রত মণ্ডল বা তাঁর আইনজীবীর তরফে এখনও এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তিনি সিবিআইয়ের মুখোমুখি হবেন এমনটাও যেমন বলা হয়নি, তেমনই তিনি যে এবারও হাজিরা এড়িয়ে যাবেন এমন কোনও ইঙ্গিতও দেননি। তবে এক্ষেত্রে আরও দুটি সম্ভবনার দিকও উঠে আসছে। যেহেতু তিনি বর্তমানে আসানসোলের ভোটের দায়িত্বে রয়েছেন, পাশাপাশি দলের কার্য সমিতির অন্যতম সদস্য, সেক্ষেত্রে দলীয় কোনও কাজেও তিনি কলকাতায় আসতে পারেন। কিংবা, তাঁর নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যও তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিতে পারেন।
তবে সাম্প্রতিক যে প্রেক্ষাপট, তাতে অনুব্রত মণ্ডলের কলকাতার উদ্দেশে রওনা হওয়ার প্রথম সম্ভাবনাটিই সবথেকে বেশি জোরালো হচ্ছে। উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, তিনি আইনি রক্ষাকবচের বিষয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ারও একটি চেষ্টা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে, যদি তিনি আইনি রক্ষাকবচ পেয়ে যান তাহলে ফের একবার সিবিআই হাজিরা এড়ানোর সুযোগ থাকবে। অন্যথায় আগামিকাল (বুধবার) সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে পারেন তিনি।
Be the first to comment